পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পানিতে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য অণুজীবকে মেরে পানিকে পানের উপযোগী করে তুলে। বিশুদ্ধকরণ করতে সক্ষম এই ট্যাবলেটগুলোতে থাকে ক্লোরিন, ক্লোরিন ডাই-অক্সাইড অথবা আয়োডিন। এই কেমিক্যালগুলো পানিতে থাকা ক্ষতিকর অনুজীবদের নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। এতে পানি হয়ে ওঠে নিরাপদ ও পানের উপযোগী।
বাংলাদেশে যে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটগুলো সহজেই পাওয়া যায়
ঢাকার নামকরা ফার্মেসি যেমন লাজ ফার্মা, ওয়েল বিইং ইত্যাদির বিভিন্ন আউটলেট ঘুরে ও কথা বলে জানা গেল কিছু বহুলব্যবহৃত পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেটের কথা। এই ট্যাবলেটগুলোর বিষয়ে সাধারণ তথ্য পাওয়া যায় নির্দেশিকার সঙ্গেই।
অ্যাকুয়াট্যাবস
বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত এই ট্যাবলেট। এটি পানির স্বাদ পরিবর্তন করে না আর দ্রুত কাজ করে৷ পানিতে মেশানোর ৩০মিনিটের মাঝেই পানিকে পানের উপযোগী করে তোলে। এই ট্যাবলেট পানিবাহিত রোগ যেমন কলেরা, টাইফয়েড, ডায়রিয়া থেকে রক্ষা করে।
হ্যালোট্যাব
এই ট্যাবলেটে থাকা হ্যালাজোন কেমিক্যালটি পানির সাথে মিশে হাইপোক্লোরাস এসিড তৈরি করে যা জীবাণু ধ্বংস করে। ঔষধের প্যাকেটের গায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ পানিতে মিশিয়ে পানিকে সুপেয় করা তোলা যায় সহজেই। ৩০মিনিট থেকে ১ঘণ্টা সময় রেখে দিলে পানি পুরোপুরি নিরাপদ হয়।
ওয়েসিস
৩৩ মিলিগ্রামের একটি ট্যাবলেট ৪-৫লিটার পানিকে বিশুদ্ধ করতে পারে। এটিও অ্যাকুয়াট্যাবস-এর মতো দ্রুত পানিকে বিশুদ্ধ করে৷ পানিতে মেশানোর ৩০মিনিট পর পানি হয়ে ওঠে পান উপযোগী।
পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহারের নিয়ম
এক্ষেত্রে সাধারণ নিয়মগুলো জানা থাকলে নিজেদের উদ্যোগেই বাঁচা যায় কিছু রোগ-বালাই থেকে। চলুন এই সাধারণ নিয়মগুলো জেনে নেই
১. প্রথমে ফিল্টার পেপার বা পরিষ্কার ছোট কাপড় দিয়ে পানি ছেঁকে নেওয়া।
২. প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশিকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ পানিতে বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট যোগ করা।
৩. ৩০মিনিট থেকে ১ঘণ্টা সময় অপেক্ষা করা।
৪. এসব ট্যাবলেটে ক্লোরিন থাকায় পানিতে ক্লোরিনের একটু গন্ধ থেকে যেতে পারে। এক্ষেত্রে পানি উন্মুক্ত রেখে নেড়েচেড়ে নিলে গন্ধ অনেকটা কমে যায়। হাতের কাছে নিউট্রিলাইজার থাকলে যোগ করে নেওয়া যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।