জুমবাংলা ডেস্ক : ককটেল পার্টির আয়োজন করে ডা’কা হতো সমাজের নামি-দামি ব্যবসায়ী, আমলা, প্রশা’সনের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদের। গো’পনে তা রেকর্ড করে রাখতেন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ।
সুযোগ বুঝে সেই ভিডিও ক্লিপ দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন প্রভাবশালীদের। পরে তাদের কাছ থেকে বাগিয়ে নিতেন বড় বড় কাজ। এবার মডেল নায়িকাদের নিয়েও পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পাপিয়াকে গ্রে’ফতারের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ঘেটে বেশ কিছু ভিডিও পেয়েছে আ’ইন-শৃ’ঙ্খলাবা’হিনী। ওইসব ভিডিওর কোনো কোনোটি এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
যা দেখে সবাই ধিক দিচ্ছেন মুখোশপড়া মানুষগুলোকে। এ নিয়ে দু’দিন ধরে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
র্যা’বের এক কর্মক’র্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভিআইপিদের অ’শ্লীল ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করে পাপিয়া অল্প সময়েই তিনি নরসিংদী ও ঢাকায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের মালিক বনে গেছেন।
পাপিয়ার স্বামী সুমন স্ত্রী’র ব্যবসায় সহযোগিতার পাশাপাশি থাইল্যান্ডে বারের ব্যবসা করেন। তাদের মূল ব্যবসা ছিল উঠতি শিল্পপতি-ব্যবসায়ীসহ সমাজের উঁচুস্তরের লোকদের ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়।
আ’ট’ক ব্যক্তিদের জি’জ্ঞাসাবাদের সাথে যুক্ত এক কর্মক’র্তা বলেছেন, নরসিংদী ও ঢাকার অনেক তরুণীকে চাকরির নামে তারকা হোটেলে ডেকে ‘পার্টি গার্ল’ হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
ফেসবুকে প্রকাশ্যে যৌ’ন ব্যবসার গ্রুপ ‘এসকর্ট’ থেকেও সুন্দরীদের সংগ্রহ করতেন পাপিয়া। পরে টাকার প্রলো’ভন দেখিয়ে অনেককে শয্যাসঙ্গী করতে বা’ধ্য করতেন।
এসব কু’ক’র্মের বেশকিছু ভিডিও এখন আ’ইন-শৃঙ্খলা বা’হিনীর হাতে। কী’ আছে এসব ভিডিও ক্লিপে? এমন প্রশ্নে র্যা’ব কর্মক’র্তা বলেছেন, পাপিয়ার মোবাইল ফোন অ’শ্লীল ভিডিওতে ঠাসা।
অ’শ্লীল ভিডিও তুলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন পাপিয়া। ল’জ্জায় কেউ মুখ খুলত না। এসব ভিডিওতে থাকা ৭ জন উঠতি বয়সী তরুণীর সাথে র্যা’বের কথা হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মক’র্তা বলেন, টিপসের বাইরে এসব তরুণীকে মাসে ৩০ হাজার টাকা করে দিতেন পাপিয়া।
এসব তরুণীকে আ’ইনের আওতায় আনা হবে কি না; এমন প্রশ্নের জবাবে র্যা’বের ওই কর্মক’র্তা বলেন, তাদের অ’পরাধের বিষয়টিও অনুস’ন্ধান করা হচ্ছে। এসব তরুণী যদি ব্ল্যাকমেইলের সাথে যুক্ত থাকেন তবে তাদেরও আ’ইনের মুখোমুখি হতে হবে।
র্যা’বের এক কর্মক’র্তা জানান, রাজনীতির আড়ালে মা’দক ও নারীদের নিয়ে ‘বাণিজ্য’ করতেন পাপিয়া। রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোয় মাঝে-মধ্যেই ‘ককটেল পার্টি’র আয়োজন করতেন।
এসব পার্টিতে উপস্থিত হতেন সমাজের উচ্চস্তরের লোকজন। পার্টিতে নাচাগানার তালে তালে ভিআইপিদের ম’দ সরবরাহ করতো উঠতি বয়সী সুন্দরী তরুণীরা।
ম’দের নে’শায় টালমাটাল আমন্ত্রিত অ’তিথিদের সঙ্গে কৌশলে ধারণ করা হতো ওই তরুণীদের অ’শ্লীল ভিডিও। পরে ওইসব ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভ’য় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতেন পাপিয়া। বনিবনা না হলেই ফেসবুকে ছড়িয়েও দেয়া হতো।
এছাড়া বর্তমান সময়ের কয়েকজন মডেল ও অ’ভিনেত্রীও চুক্তিতে পাপিয়ার সাথে কাজ করতেন বলেও জানাগেছে। পাপিয়ার মোবাইলে নতুন নতুন বেশ কয়েকজন মডেলের ও নায়িকার ছবি পাওয়া গেছে।
ধারনা করা হচ্ছে খদ্দেরদের কাছে এসব মডেল ও নায়িকার ছবি পাঠাতো পাপিয়া। এ তালিকায় আছে মিডিয়া পাড়ার বেশ কয়েকজন। তবে ত’দন্তের কারনে এখনই এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে নারাজ ওই সূত্রটি।
এছাড়া প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদেই পাপিয়ার কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মাথা ঘুরিয়ে দেয়া খবর। পাপিয়ার অ’পকর্মের সঙ্গীদের ধরতে এরই মধ্যে একাধিক অ’ভিযান চালানো হয়েছে।
পাপিয়ার বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস জানার চে’ষ্টা করছে র্যা’ব। র্যা’ব জানতে পেরেছে, পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরী অনলাইন ক্যাসিনোর গডফাদার সেলিম প্রধানের গুলশানের বাসায় ক্যাসিনো খেলতেন।
সেলিম প্রধান কারাগারে গেলেও অনেকেই ধ’রাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। এদের মধ্যে পাপিয়া ও সুমন চৌধুরী অন্যতম। জানা যায়, ২০০০ সালের দিকে নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমনের উত্থান শুরু।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।