পাবনা প্রতিনিধি : মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে পাবনায়। প্রচন্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে অসহ্য হয়ে উঠেছে জনজীবন। সকাল থেকেই রোদের তাপে বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। রোযার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, সোমবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে উত্তরের এই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সকালের দিকে তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি জানান, গতকাল রোববার (৩১ মার্চ) ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে মাঝাারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে পাবনার ওপর দিয়ে।
দুপুরে প্রচন্ড রোদের তাপে বাইরে চলাচল বা দাঁড়ানো যাচ্ছেনা। মনে হয় আগুন ঢেলে পড়ছে। আর এই কারণে সড়কে মানুষের সাথে সাথে যানবাহন চলাচলও কমে গেছে।
তীব্র গরমে রোজাদারদের প্রাণও ওষ্ঠাগত। প্রখর রোদের ঘাম ঝরানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। বিশেষ করে তীব্র রোদের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক, ঠেলা ও ভ্যানচালকরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না।
আবার অনেকেই জীবন জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করেই বাধ্য হয়ে কাজে বের হয়েছেন। তীব্র গরমে বয়স্ক, শিশুরা পড়েছে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে।
জরুরি কাজ না থাকলে মানুষজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। এর প্রভাব পড়েছে আসন্ন পয়লা বৈশাখ ও ঈদের কেনাকাটায়। বিপণী বিতানগুলোতে দিনের বেলায় লোক সমাগম কমে গেছে। সন্ধ্যার পর ভীড় বাড়ছে।
পাবনা শহরের ঘোড়া স্ট্যান্ডে ভ্যান নিয়ে বসেছিলেন মহির উদ্দিন। তিনি বলেন, একটুক সময়ও রোদে দাঁড়াবের পারতিছি না। ভাড়াও মারবের পারতিছি না। বসে থাকতিছি।
কেনাকাটা করতে বের হয়েছে মধ্য বয়সী আব্দুস সালাম। নিউ মার্কেটের সামনে কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে খুব রোদের তাপ। তাই ছাতা নিয়ে বের হইছি। এরকম রোদের তাপ এর আগে বুঝতে পারিনি। রোযা থেকে চলাচল খুব কষ্ট হয়ে গ্যাছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।