জুমবাংলা ডেস্ক: পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে চললেও বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব হুট করে নির্বাচন বর্জন করেছেন। এই ঘটনাকে অস্বাভাবিক ভাবছেন না স্থানীয় জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতারা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বোরহানউদ্দিন জানান, ‘বিএনপির প্রার্থী অর্থ খরচ করবে না। বরং নির্বাচন উপলক্ষে তিনি যা কামাই করেছেন এটাই তার লাভ। আর দল থেকে তিনি মনোনয়ন কিনেছেন ব্যবসা করার জন্য। আর এই নির্বাচনে ফেল করবেন জেনেই তিনি কোনও এজেন্ট দেন নাই। নির্বাচন নিয়ে তার কোন আগ্রহও ছিল না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবনা জেলা বিএনপির এক সিনিয়র নেতা জানান, ‘হাবিবুর রহমান হাবিব মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে কোনও যোগাযোগ করেননি। এমনকি যারা নিজ আগ্রহে কাজ করেছেন তাদেরকেও কোন নির্বাচনী খরচ দেননি।
সরজমিনে ঘুরে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কোনও এজেন্ট চোখে পড়েনি। কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করার কোনও তথ্যও জানা গেল না। প্রায় সব কেন্দ্রে ঘুরে দেখছি, কোথাও ধানের শীষের এজেন্ট নাই।
এদিকে পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর তোলা অনিয়মের অভিযোগের যৌক্তিতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল। আজ শনিবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এস এম কামাল বলেন, বিএনপি প্রার্থী নির্বাচন করার জন্য আসেননি। তিনি এসেছেন নির্বাচন বাণিজ্য করার জন্য। ভোটের মাঠে তার কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। বিএনপি যেসব অভিযোগ তুলেছে, সুনির্দিষ্ট করে তারা একটি ঘটনাও দেখাতে পারবে না। বিএনপি’র কোনো কর্মী বা সমর্থক আওয়ামী লীগের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হলে তাদের কথার যৌক্তিতা থাকতো। একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য তারা মিথ্যা অভিযোগ করছে।
কেন্দ্রগুলোতে বিএনপির প্রার্থীদের এজেন্ট না দেয়ার কারণ হিসেবে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র বৈশিষ্ট্য মিথ্যাচার করা। সম্প্রতি সাহাপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই হামলায় বিএনপি জড়িত। যে কারণে তারা এজেন্ট দিতে পারেনি। বিএনপি প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে আসার পথ খুঁজছিলেন। ভোট বাতিল বা বর্জনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
পাবনা-৪ ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া এই দুই উপজেলা, দু’টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৮৪টি, মোট ভোটার ৩ লাখ ৮১ হাজার ১ শ’ ১২ জন।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু মারা এই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৬ সাল থেকে টানা ২৫ বছর আসনটি রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দখলে। অন্যদিকে, দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে আসনটি বারবারই অধরা থেকে গেছে বিএনপির।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।