কিছু কিছু মানুষের জুতা পরে থাকা অবস্থাতেও দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। যেমন বাসের মধ্যে, অফিসে বা রেস্টুরেন্টে প্রায়ই এমন দুর্গন্ধের উপস্থিতি টের পাওয়া যায় এই ঋতুতে। মূলত যাঁদের পা অনেক ঘেমে যায়, তাঁরাই এই বিব্রতকর সমস্যায় ভোগেন। এই ঘামের জন্য জুতা, মোজা ও পায়ে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। আর এর প্রভাবেই বাজে গন্ধের সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ব্রোমোডোসিস বলে। আর ব্যাকটেরিয়ার নাম হচ্ছে ব্রেভিব্যাকটেরিয়া।
কীভাবে দূর করবেন পায়ের দুর্গন্ধ
১. পা প্রতিদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন
প্রতিদিন গোসলের সময় অনেকেই পায়ের দিকে খেয়াল করেন না। মনে রাখা দরকার, সুস্থ থাকতে হলে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পা পরিষ্কারের জন্য কম ক্ষারযুক্ত সাবান বা বডিওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। পা ঘষতে স্ক্রাব বা ঝামা ব্যবহার করতে পারেন। সুপারশপ থেকে শুরু করে ফুটপাতেও মাটি বা প্লাস্টিকের তৈরি পা পরিষ্কার করার ঝামা, স্ক্রাব সহজেই পেয়ে যাবেন। এগুলো দিয়ে প্রতিদিন গোসলের সমযলতোভাবে পা ঘষে পরিষ্কার করতে পারেন। আর অবশ্যই পায়ের আঙুলের আশেপাশে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। এভাবে কিছুদিন যত্ন করলেই দেখবেন পা থেকে তীব্র দুর্গন্ধ আসা বন্ধ হবে।
এছাড়া, ছোট বালতিতে কুসুম গরম পানি ঢেলে, তাতে একটা লেবুর রস আর আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর দুই পা ঐ বালতিতে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। পানির পরিমাণ যেন কমপক্ষে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত থাকে। স্ক্রাব দিয়ে ঘষে পা পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর ভালোভাবে পা মুছে শুকিয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ৩ দিন করে গোসলের সময় এভাবে পা পরিষ্কার করলে খুব শীঘ্রই পা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানো বন্ধ হবে।
২. পায়ের নখ সবসময় ছোটো ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নখ ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। কারণ নখের ফাঁকে মৃত চামড়ায় পানি জমে ব্যাকটেরিয়া বিস্তার লাভ করতে পারে।
৩. এক মোজা অনেক দিন ব্যবহার না করে পরিবর্তন করে ব্যবহার করা উচিত। যাঁদের পা অনেক ঘেমে যায়, তাঁদের ২ দিনের বেশি একই মোজা কখনোই ব্যবহার করা উচিত নয়। তাছাড়া মোজা ভালো ও প্রাকৃতিক তন্তুর কেনা উচিত একটু দাম বেশি হলেও।
৪. অ্যান্টিফাঙ্গাল ফুট স্প্রে বা পাউডার কিনতে পাওয়া যায়। এগুলোর ব্যবহার পায়ের বাজে গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
৫. খুব আঁটসাঁট জুতা বা যেসব জুতা আর্দ্রতা ধরে রাখে সেগুলো ব্যবহার না করা। বাড়িতে জুতার মধ্যে লেবুর খোসা দিয়ে রাখতে পারেন। জুতার বাজে গন্ধ কমে যাবে।
৬. যদি খুবই দ্রুত সাময়িক সময়ের জন্য পায়ের গন্ধ দূর করতে চান, তারা পায়ে সরাসরি ডিওডোরেন্ট স্প্রে করতে পারেন।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন: হাইপারহাইড্রোসিস। এক্ষেত্রে এই সমস্যায় ভোগা মানুষের শরীরে প্রচন্ড ঘাম উৎপন্ন হয়। আর পায়ের দুর্গন্ধও মাত্রা ছাড়ায়। এক্ষেত্রে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।