জুমবাংলা ডেস্ক: দেশে উৎপাদিত পাস্তুরিত-অপাস্তুরিত দুধে সিসা, ক্রোমিয়াম কিংবা সালফা ড্রাগের মতো অন্য কোনো ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
বুধবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিএআরসির পুষ্টি ইউনিট আয়োজিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগ ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি বিশ্নেষণ ফলাফল প্রকাশ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমন দাবি করেন।
তিনি বলেন, এসব দুধের নমুনা ভারতের চেন্নাইয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) পরীক্ষা করে জানিয়েছে, এসব দুধে স্বাস্থ্যঝুঁকির মতো কোনো উপাদান নেই।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিএআরসি মিল্ক ভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, ঈগলু, আরডি, সাভার ডেইরি ও প্রাণ এই ৮টি দুধের নমুনা সংগ্রহ করে যে গবেষণা করেছে তাতে মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোনো পদার্থ পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, একই নমুনা ভারতের চেন্নাইতে এসজিএস আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়, তাদের ফলাফল ও বিএআরসি’র ফলাফল একই। পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত এই ৮টি দুধে মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোনো পদার্থ নেই।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরীক্ষাগারে এসব দুধ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় কোনো দুধেই কোনো প্রকার ভারী ধাতু যেমন লিড ও ক্রোমিয়ামের অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়নি। কোনো প্রকার সালফা ড্রাগ এর অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়নি। শুধু মাত্র একটি নমুনায় ক্লোরামফেনিকোল’র উপস্থিতি পাওয়া গেছে প্রতি কেজিতে ০.০৬ মাইক্রোগ্রাম। কারও কারও মতে ০.১ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য। এই গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণে নিশ্চিতভাবে বলা যায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উৎপাদিত বাজারজাতকৃত দুধ পানে কোন প্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএআরসি হচ্ছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এপেক্স বডি। খাদ্যসহ যে কোনো পণ্য নিয়ে আতঙ্ক বা বিভ্রান্তি এড়াতে এবং বিভিন্ন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে শিগগিরই দেশে অ্যাক্রিডেটেড ল্যাবরেটরি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিএআরসির পুষ্টি ইউনিটের পরিচালক ড. মনিরুল ইসলাম গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করে বলেন, গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্নেষণে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, দেশীয় প্রতিষ্ঠান উৎপাদিত বাজারজাত করা দুধ পানে কোনো প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। দেশে উৎপাদিত দুধ নিয়ে কোনো উৎকণ্ঠা নেই।
তিনি বলেন, খাদ্যপণ্যের গুণগত মান বিশ্নেষণে এদেশে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো ল্যাবরেটরি নেই। ফলে স্থানীয় ওইসব গবেষণাগারের বিশ্নেষণ সক্ষমতা বা মান কতটুকু গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিরুজ্জামান। বিএআরসির চেয়ারম্যান কবির ইকরামুল হকসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।