লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রতি মাসে তলপেটে ব্যথা, সঙ্গে বমি বমি ভাব, ডায়ারিয়া, ক্লান্তি আর রক্তক্ষরণ। কোনও মেয়েরই ঋতুস্রাবের দিনগুলো ভাল লাগে না। কিন্তু এর হাত থেকে নিস্তারও কোনও উপায় নেই। অন্তত প্রজনন বয়সকালে এই ঋতুস্রাবকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। কিন্তু ‘ব্লোটিং’-এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় রয়েছে। ঋতুস্রাব চলাকালীন সারাক্ষণ পেট ভার হয়ে থাকে। মনে হয় যেন গ্যাসে পেট ফুলে রয়েছে। খাবার খাওয়ারও ইচ্ছে থাকে না। এই অবস্থাকে ব্লোটিং বলা হয়। পিরিয়ড চলাকালীন এই ব্লোটিংয়ের সমস্যা এড়াতে চাইলে, বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এতে ঋতুস্রাবের সময় হওয়া শারীরিক অস্বস্তি থেকেও মুক্তি পাবেন।
উচ্চ সোডিয়াম যুক্ত খাবার: অতিরিক্ত নুন দেওয়া খাবার থেকে দূরে থাকুন। খাবার পাতে নুন রাখার পাশাপাশি যে সব খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি, সেগুলোও এড়িয়ে চলুন। উচ্চ সোডিয়াম যুক্ত খাবার খেলে দেহে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। সেখান থেকে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে। পাশাপাশি কৃত্রিম চিনিও থাকে। ঋতুস্রাবের সময় এসব খাবার থেকে দূরে থাকুন। এগুলো ব্লোটিংয়ের পাশাপাশি শারীরিক দুর্বলতা ও অন্যান্য সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
কার্বোনেটেড ড্রিংক্স: গরমে কোল্ড ড্রিংক্স খাওয়ার ক্রেভিং একটু বেশিই হয়। কিন্তু ঋতুস্রাব চলাকালীন যদি সোডা যুক্ত, মিষ্টি স্বাদের নরম পানীয় খেয়েছেন, তাহলেই বিপদ। এগুলো স্বাস্থ্যের কোনও উপকার আসে না। উল্টে শারীরিক সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: ঋতুস্রাব চলাকালীন হালকা খাবার খাওয়াই ভাল। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত হলেও পিরিয়ডের সময় না খাওয়াই ভাল। যেহেতু এই সময় ডায়ারিয়া ও পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয় তাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাবার এড়িয়ে চলুন।
দুগ্ধজাত খাবার: ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্ট না হলেও অনেক সময় দুধ খেলে পেট খারাপ হয়। পেটের গণ্ডগোল এড়াতে দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। চিজ, আইসক্রিম, চকোলেটও দুধ থাকে। তাই এই সময় ব্লোটিং এড়াতে এগুলোও এড়িয়ে চলুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।