জুমবাংলা ডেস্ক : গত বছরের লোকসানের অভিজ্ঞতায় এবার ব্যবসা থেকে সরে এসেছেন অনেক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী। যারা এবার ব্যবসায় নেমেছেন, তারাও চামড়া কিনছেন নামমাত্র দামে। তবুও চোখেমুখে পুঁজি হারানোর শঙ্কা।
রাজধানীতে এবছর কোরবানি হচ্ছে সাত লাখের বেশি গবাদি পশু। বিপুল পরিমাণ পশুর চামড়া কিনতে প্রতি বছর মাঠে দেখা যায় মৌসুমি ফড়িয়াদের আনাগোনা। এবার ঈদের আগ পর্যন্ত অনেককে দেখা গেলেও ঈদের দিন তাদের সংখ্যা কমে গেছে।
হঠাৎ করে চামড়া ব্যবসা থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সটকে পড়ার কারণ জানা গেল অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। তারা জানান, গত বছরের মতো এই বছরও লোকসানের ঝুঁকি নিতে রাজি নয় অনেকেই। তাই মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী প্রায় অর্ধেকই এ বছর মাঠে নেই।
আদাবর এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী তিলক মাহমুদ বলেন, ‘ট্যানারি মালিকরা প্রতি বছর একই কাহিনি করে। সরকার যে দাম ঠিক করছে, তারা সে দামও দেয় না। তাই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লস খায়। এই বার লসের ভয়ে অনেকেই ব্যবসায় নামে নাই।’
তিলক জানান, এবার সর্বনিম্ন ৭০০ এবং সর্বোচ্চ এক হাজার টাকায় কিনেছেন একেকটি গরুর চামড়া।
মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকার একদল ব্যবসায়ী জানান, তারা সর্বনিম্ন আড়াইশ টাকা থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ছয়শ টাকায় একেকটি গরুর চামড়া কিনেছেন। বিগত বছরের লোকসানের কথা মনে করে এবারো লোকসানের ভয়ে রয়েছেন এই ব্যবসায়ীরা।
আবার প্রতি বছরের মতো এবারো বেশি দামে চামড়া কিনেছেন এমন ব্যবসায়ীর সংখ্যাও কম নয়। হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ এলাকায় চামড়া জড়ো করে রেখেছেন একদল ব্যবসায়ী।
হালিম হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী জানান, চামড়ার আকারের ওপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন। এবার বিক্রির বেলায় পাইকারদের দেখা পাচ্ছেন না।
রাজধানীর পাড়া-মহল্লা থেকে সংগ্রহ করা চামড়া কিনতে প্রতি বছর মহল্লাতেই দেখা মেলে পাইকারদের। কিন্তু এ বছর বিকাল পেরিয়ে গেলেও কোনো মৌসুমি ব্যবসায়ীর দেখা পাননি বলে জানান স্থানীয়রা। সূত্র : ঢাকাটাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।