হাসান তনা, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী): যাদের পুকুর কিংবা জলাশয় আছে তাদেরকে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আজ (২ মে) দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা মৎস্য অফিসর মৎস্য চাষীদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে সাংবাদিকরা দেখতে পান প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই মৎস্য চাষী নন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প (২য় পর্যায়), (২য় সংশোধিত) এর আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের আরডি ও এফএফদের মৎস্য চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রথম ব্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন ১৮ জন। পরবর্তীতে আরও ২টি ব্যাচে মোট ৩৬ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।
কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের এ প্রশিক্ষণ। কার্প মিশ্র চাষ, ঘুলশা/পাবদা/ট্যাংড়া চাষ এবং মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষ ব্যবস্থাপনার এ প্রশিক্ষণে পুকুর নেই ও মাছ চাষ করে না এমন ক’জনকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে দেখা গেছে।
উপজেলার কেশবা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন। তার পুকুর না থাকলেও তিনি এ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। এছাড়া কামারপাড়া গ্রামের শাকিল ইসলাম। তারও কোনও পুকুর নেই। এই দুইজন ছাড়াও পুকুর নেই কিংবা মৎস্য চাষী নন এরকম আরও ১৬ জন এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন।
বড়ভিটা ইউনিয়নের মৎস্য চাষী বাচ্চু মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি প্রকৃত মাছ চাষী হয়েও এ প্রশিক্ষণে আমার নাম রাখা হয়নি।’
উপজেলা মৎস্য অফিসার আবুল কাশেম জানান, ‘আরডিদের শুধু পুকুর নয়, ভালো মানের পুকুর থাকতে হবে। অন্যদিকে এফএফদের পুকুর থাক আর না থাক বা মাছ চাষ করে কিনা সেটা না দেখে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় যাতে আগামীতে মাছ চাষ করতে উদ্বুদ্ধ হয় তারা।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।