আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এখন থেকে বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করলে পুলিশকে জানাতে হবে। শুধু তাই নয়, বাড়িতে লাইসেন্স করা কোনো অস্ত্র আছে কি না তাও জানাতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি পুলিশের কাছে জমা দিতে হবে অতিথিদের নামের লিস্ট।
সম্প্রতি ভারতের বিহারে পুলিশের পক্ষ থেকে এমন আদেশ জারি করা হয়েছে। এমন আদেশ জারি করায় সাধারণ মানুষ মনে করে এতে বিয়ের আনন্দে ভাটা পড়বে। পাশাপাশি তারা অনেকটা বিরক্তও।
তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। এর পক্ষে যুক্তি দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।
বিহার পুলিশের দাবি, রাজ্যের বহু বিয়েবাড়ির আনন্দ খুনখারাবিতে বদলে গেছে। এক মুহূর্তে বিয়ের আনন্দ মাটি। নিভে গেছে সব আলো। বিয়ে বাড়িতে এমন অস্থিরতা বন্ধ করতেই এই ব্যবস্থা।
পুলিশ আরও বলছে, বিয়েবাড়িতে আনন্দের মধ্যে গুলি চালিয়ে দেয় অনেকে। আকাশে গুলি ছুড়তে গিয়ে কখনো প্রাণ গেছে বরের তো কখনো বরযাত্রীর। কখনোবা অন্য কারো। এসব থামাতে হবে। তাই পুলিশের জানা উচিত কোথায় বিয়ে হচ্ছে।
রাজ্যের এডিজি সঞ্জয় সিং বলেন, আনন্দ করতে গিয়ে বিয়ে বাড়িতে অনেকের প্রাণ গেছে, অনেকে আহত হয়েছেন। কেননা আনন্দ করতে গিয়ে গুলি চালানো হচ্ছে। তাই বিয়েবাড়ি, ধর্মশালা বা ব্যাঙ্কোয়ট হল রয়েছে তাদের বলা হচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠান হলেই খবর দিতে হবে। পুলিশের গাইডলাইন অনুযায়ী, বিয়ে হল, লন, ব্যাঙ্কোয়েট হলে পর্যাপ্ত সংখ্যায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে।
প্রসঙ্গত বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিয়েবাড়ি, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আনন্দে মাত্রা ছাড়িয়েছে। মাতলামি তো রয়েছেই, গুলি চালিয়েও আনন্দ করতে দেখা গেছে। আর তাতে প্রাণ গেছে অনেকের। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে বিহার সরকার।
বিশ্বের সবথেকে ধনী এই মহিলা, যার সম্পত্তির পরিমাণ মুকেশ আম্বানির থেকেও বেশি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।