পেঁয়াজপাতা পেঁয়াজের কলি হিসেবে সমধিক পরিচিত। শীতের সবজির মধ্যে পেঁয়াজপাতা বেশ জনপ্রিয়। খেতেও এটি অত্যন্ত সুস্বাদু। একে স্প্রিং অনিয়ন বা সবুজ পেঁয়াজও বলা হয়। পেঁয়াজপাতায় ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে মজবুত করা, হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখা এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। পেঁয়াজপাতার আরও কিছু গুণ রয়েছে।
শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
পেঁয়াজপাতায় থাকা সালফার যৌগ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে, যা শরীরে গ্লুকোজের শোষণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এটি কার্যকর।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় পেঁয়াজপাতা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করতে সাহায্য করে। ফাইবার অন্ত্রে খাবার সহজে চলাচলে সহায়তা করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্যান্য হজমজনিত সমস্যার সমাধান করতে পারে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার উপশমেও সহায়ক, যেমন গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা বা অম্বল।
হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা দেয়
পেঁয়াজপাতায় স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি হৃৎপেশি উন্নত করতে সাহায্য করে, খারাপ এলডিএল কমায় এবং ভালো এইচডিএলের মাত্রা বাড়ায়। এ ছাড়া পেঁয়াজপাতা হৃদ্রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।
রোগের ঝুঁকি কমায়
পেঁয়াজপাতা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টে ভরপুর, যার মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলো কোষের ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনল ফ্রি র্যাডিকেলসকে ধ্বংস করে। এই ফ্রি র্যাডিকেলসের কারণে ক্যানসার, হৃদ্রোগ এবং বার্ধক্যজনিত রোগ হতে পারে।
হাড়কে শক্তিশালী করে
পেঁয়াজকলি কোলাজেন সংশ্লেষণকে উদ্দীপিত করে, যা হাড়কে শক্তিশালী ও মজবুত করে। এতে থাকা ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।