পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারত রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় লাগামহীন হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। চাহিদা মেটাতে এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে রেকর্ড পরিমাণ আমদানির পাশাপাশি মিশর-চীন থেকেও এসেছে পেঁয়াজ।
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ আসছে। সোমবার পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৭৩ টন পেঁয়াজ বন্দরের কার্যক্রম শেষ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ঘাটে পেঁয়াজভর্তি ১৫টি ট্রলার নোঙর করা আছে। বন্দরের উদ্দেশ্যে মিয়ানমার ছাড়ছে আরো বেশ কয়েকটি ট্রলার। ফলে পেঁয়াজ আমদানি বাড়বে। এরপর দাম কমবে।
টেকনাফ স্থলবন্দরকেন্দ্রিক আমদানিকারকরা অভিযোগ করেছেন, শ্রমিক অপর্যাপ্ততার কারণে পেঁয়াজবোঝাই ১০-১২টি ট্রলার এখনো বন্দরে নোঙর করে আছে। শ্রমিক সংকটের কারণে পেঁয়াজগুলো ট্রলার থেকে খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য বন্দরের শ্রমিক অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, মিশর ও চীন থেকে ১৩ কন্টেইনার ভর্তি পেঁয়াজ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে দুটি জাহাজ। এসব কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছানোর পর সোমবার পেঁয়াজ খালাস শুরু করা হয়েছে।
এম ভি কালা পাগুরো এবং এমভি জাকার্তা ব্রিজ নামক জাহাজ দুটি করে এসব পেঁয়াজ আসে। সাধারণত প্রতিটি ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনারে গড়ে ৩০ টনের মতো পেঁয়াজ থাকতে পারে। অর্থাৎ দুই জাহাজে ৩৯০ টনের মতো পেঁয়াজ হতে পারে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, মিশর এবং চীন থেকে বাংলাদেশের তিন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান তিনটি হল- জেনি এন্টারপ্রাইজ, হাফিজ করপোরেশন ও এন এস ইন্টারন্যাশনাল।
বন্দরের জেটিতে এসব কন্টেইনার নামানোর কাজ চলছে। পরে পণ্য আমদানিকারকরা ছাড় করাবেন।
ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়লেও বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দীন জানালেন দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ আছে। তাই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই।
সোমবার সচিব বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ে যারা কারসাজি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।