জুমবাংলা ডেস্ক : করোনার বিধি নিষেধ না মেনে মোংলায় কয়েক’শ নারী-পুরুষ নদ-নদীতে চিংড়ি পোনা আহরণ করছেন। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে পোনা আহরণের এই যত্রতত্র কার্যক্রম।
উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনিতে এমন চিত্র দেখা গেছে। চিংড়ি পোনা আহরণকারী প্রান্তিক জেলেরা বলছেন, পেটের দায়ে তারা তারা মাছ ধরছেন।
তবে স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, আইন অমান্য করে পোনা আহরণ করতে গিয়ে তাদের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ বাড়াতে পারে।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সরকারি নির্দেশনা মেনে মানুষ যখন নিজ গৃহে অবস্থান করছে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করছে, তখন একেবারে ভিন্ন চিত্র মোংলার জয়মনির নদীতে।
কয়েক’শ নারী-পুরুষ দল বেধে নদীতে নিষিদ্ধ নেট জাল দিয়ে চিংড়ির পোনা আহরণ করছেন। এসময় কথা হয়-জেলে আব্দুল মালেক, রহিমন বেগম, আমির হোসেন ও জাহানারা বেগমের সাথে কথা বলে জানা গেল, ‘করোনা নিয়ে নয়, তাদের চিন্তা শুধুমাত্র খাদ্যের জোগান নিয়ে।’
জেলেরা বলেন, ‘পেটে যদি না মানে মৃত্যুর ভয় করে লাভ আছে? মৃত্যুতো একদিন হবে। ঘরে চাল নাই, ছেলে-মেয়েদের খাবার কে দিবে? তাই নদীতে নেমে পড়েছি।’
আরেক জেলে বলেন, ‘আজ মাছ না ধরলে কাল না খেয়ে মরে যাব। এই সময় যে ত্রাণ পাচ্ছি দুই কেজি চাল, দুই কেজি আলু আর ডাল! তা দিয়ে দু’বেলা চলবে। তারপর কী হবে?’
চিলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জানান, ‘জেলেদের কোনভাবেই বুঝানো যাচ্ছেনা। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যত্রতত্র পোনা আহরণের কারণে সারাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যে ছড়িয়ে পড়তে পারে, জেলেরা তা বুঝতেই চাচ্ছেন না।’
পরিবেশবাদী পশুর রিভার ওয়াটার কিপার মো. নুর আলম শেখ জানান, ‘বিশ্বব্যাপী যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে-ঘনত্বের দিক দিয়ে বাংলাদেশ অত্যান্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের নিষিদ্ধ ঘোষিত যে খাল বা নদীতে জেলেরা অবাধে মাছ ধরছে সেখানে সংশ্লিষ্টদের কঠোর হওয়া উচিত।’
জানতে চাইলে নৌ থানার ওসি মো. আবুল হোসেন শরিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানকার জেলেরা অত্যান্ত গরীব মানুষ। পেটের দায়ে অভাবে স্বভাব নষ্ট হওয়ার অবস্থা তাদের। তারপরও এসব ঠেকাতে মাঝে মধ্যে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।