বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : এবার ধনকুবের ইলন মাস্ক এমন একটি রোবট উন্মোচন করেছেন যা পেশাদার শেফদের চেয়েও ভালো রান্না করে। ৫,০০০ ডলার মূল্যের এই রোবটটির নাম কালিনা। এটি মাস্কের নতুন একটি উদ্যোগ, যা টেসলার অধীনে ফুড টেকনোলজি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে কাজ করছে।
যখন আমরা রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়াচ্ছি, খাবার নষ্ট করে ফেলছি, তখন মাস্কের এআই-চালিত শেফ যান্ত্রিক নিখুঁততায় উন্নতমানের খাবার তৈরি করছে।
কিছু প্রাথমিক ব্যবহারকারীদের মতে, ‘কালিনা’ আসলে পেশাদার শেফদের থেকেও ভালো রান্না করে। ফলে, খাদ্য শিল্পে কাজ করা যে কারো জন্য এটি এক ধরনের অস্তিত্ব সংকট ডেকে আনতে পারে।
কালিনা একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় রান্নার রোবট, যেটা সব কিছু করতে পারে। যেমন— রান্নার বিভিন্ন উপকরণ কাটা থেকে শুরু করে তৈরি করা খাবার প্লেটে উপস্থাপন পর্যন্ত।
এটি হাজার হাজার রেসিপি নিখুঁতভাবে প্রস্তুত করা, এআই আপডেটের মাধ্যমে নতুন রান্নার কৌশল শিখে ফেলা, আপনার পছন্দের স্বাদ অনুযায়ী ফ্লেভার অ্যাডজাস্ট করা।
এটি একেবারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। এমনকি এতে ভয়েস কমান্ডও আছে, তাই আপনি আরামে বলতে পারেন, ‘কালিনা, আমাকে এই রান্নাটা করে দাও’, আর সেটা নিজে থেকেই করে ফেলবে।
এখন আসল প্রশ্নটা হলো: কালিনা কি মানুষের চেয়ে ভালো শেফ? তাহলে কি পেশাদার শেফদের চাকরি আর থাকবে না।
এমন প্রশ্নের জবাবে কালিনার প্রাথমিক ব্যবহারকারীরা বলছেন, কালিনার রান্না এতটাই নিখুঁত, ধারাবাহিক, আর অবিশ্বাস্যভাবে সুস্বাদু যে, এটা সত্যিই হয়তো মানব শেফদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারে। আপনি যদি চান রান্নাটা একদম আপনার পছন্দ অনুযায়ী হোক, কালিনা সেটাই করবে। কালিনা রোবটটি সাধারণ মানুষের মতো রান্নায় কোনো ধরণের ভুলও করে না। না লবণ কম, না অতিরিক্ত সেদ্ধ, না লবণ বেশি, ঝাল কম– এরকম কিছুই না। প্রতিটি ডিশ প্রতিবারই নিখুঁতভাবে প্রস্তুত করে।
মাস্কের এই রোবটটি নিয়ে চিন্তিত সারা বিশ্বের রান্নাঘরে কাজ করা শেফরা। তবে কেউ কেউ বলছেন, কালিনা শেফদের জায়গা নেবে না, বরং তাদের সহকারী হিসেবে কাজ করবে—পেঁয়াজ কাটা বা সস নাড়ার মতো একঘেয়ে কাজগুলো করে দেবে, যাতে মানুষ সৃজনশীলতার ওপর বেশি মনোযোগ দিতে পারে।
আবার কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, রেস্তোরাঁ মালিকরা যদি বুঝে ফেলে যে, এইভাবে তারা লেবার খরচ বাঁচাতে পারবে, তাহলে ‘অটোমেটেড গ্যাস্ট্রোনমি’ বলার আগেই তারা মানুষকে বাদ দিয়ে রোবটে চলে যাবে।
তবে ইলন মাস্ক বলেছেন, কালিনা কারো কাজের জায়গা নিতে আসেনি, বরং আমাদের রান্নার ধরণকে উন্নত করতে এসেছে। সারাদিনের কাজ শেষে ক্লান্ত হয়ে গরম চুলার সামনে না দাঁড়িয়ে, মানুষ চাইলে একটা বাটনে চাপ দিয়ে রেস্টুরেন্ট-মানের খাবার খেতে পারবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।