জুমবাংলা ডেস্ক : প্রকল্প শেষ করার পর কাজের সাড়ে ৪ কোটি টাকা ফেরত দেয়ার খবর সত্য নয় বলে জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও চট্টগ্রামের একটি সরকারি প্রকল্পের সাব-কন্ট্রাক্টর আবু তৈয়ব।
‘এছাড়া গণপূর্ত বিভাগও জানিয়েছে এ ধরনের খবর সঠিক নয়। কোনো প্রকল্পের টাকা পুরোটা কখনো ঠিকাদারকে দেয়া হয় না। ফলে তা ফেরত দেয়ারও প্রশ্ন নেই।’
গণমাধ্যমকে আবু তৈয়ব নিজেই বলেন, ‘আমাকে নিয়ে কেন এসব হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। আমি তো ওই প্রকল্পের ঠিকাদারই না। সাব-কন্ট্রাক্টর হিসেবে কিছু কাজ করেছি। আমি কিভাবে পুরো প্রকল্পের টাকা ফেরত দেব?’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পের যে ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল সেটা ছাড় হয়ে (অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে) পিডাব্লিউডি (গণপূর্ত বিভাগ) এর কাছে এসেছিলো। কিন্তু কাজ শেষে পুরো টাকা না লাগায় সেটি ফেরত গেছে। কিন্তু ঠিকাদারের হাত থেকে তো ফেরত যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ এই টাকাতো ঠিকাদারের কাছেই আসে নাই।’
আগে তিনি বলেছিলেন যে, প্রকল্পের টাকা ফেরত দিয়েছেন এখন কেন অন্য কথা বলছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আবু তৈয়ব বলেন, ‘আমি বলিনি আমি ফেরত পাঠিয়েছি। বলেছি পিডাব্লিউডি থেকে টাকাটা ফেরত গেছে। ঠিকাদার বা আমি বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত পাঠিয়েছি এমন কথা আমি বলিনি।’
পিডব্লিউডি’র পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ঠিকাদারের টাকা ফেরত দেয়ার তো কোনো সুযোগই নেই। বায়েজিদ পার্কে ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ছিলো। এটা চূড়ান্ত কিছু নয়। কখনো কোনো ঠিকাদারকে প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয়ের পুরো টাকা দেয়া হয়না।
এটার সুযোগই নেই। কারণ প্রথমে যে ব্যয় ধরা হয় তা আনুমানিক। কাজ শেষে খরচ কমবেশি হতে পারে। ফলে আনুমানিক ব্যয় যেটা ধরা হয় সেটি ঠিকাদারকে একসাথে দেওয়া হয় না। সুতরাং টাকা ফেরত দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।