জুমবাংলা ডেস্ক : হবিগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নিজের মেয়েকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা দায়ের করেন এক নারী। এ মামলায় সাড়ে ১১ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন চার ব্যক্তি। এর মধ্যে জেল খেটেছেন তিনজন। অবশেষে পুলিশের তৎপরতায় বেরিয়ে এসেছে মূল রহস্য। প্রায় এক যুগ পর জানা গেল অপহরণ মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। মেয়েটি আত্মগোপনে থেকে দিব্যি চাকরি-বাকরি করছেন। পরিবারে টাকাও পাঠাচ্ছেন।
সোমবার আত্মগোপনে থাকা মেয়েটিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম জহুরা খাতুন শিমু। সোমবার রাতেই নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে হবিগঞ্জ নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে পরিবারের কাছে নিরাপদ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিমুকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন তার মা আমেনা খাতুন। তিনি সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা। একই গ্রামের আব্দুর রশিদ, সুরাব আলী, আব্বাস মিয়া ও হারুন মিয়াকে এ মামলায় আসামি করা হয়। আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। পরে চারজনই উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। কিন্তু এখনও তারা নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে অপহৃত শিমুকে উদ্ধারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। এরপর শিমুর সন্ধানে নামে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সনৎ কান্তি দাশ বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিমু জানিয়েছেন, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পরিবারের পরামর্শে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে ১১ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে তিনি একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করতেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।