সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের সিংগাইরে উত্তর জামশা গ্রামে প্রতিবন্ধী এক কৃষকের ২০ শতাংশ জমির ধানের বীজতলা নষ্ট করা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মোঃ জিন্নত মল্লিক বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) উপজেলার জামশা ইউনিয়নের উত্তর জামশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে চলতি মৌসুমে ওই কৃষকের ২০ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপনে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ জামশা মৌজায় এসএ ১৭৫ ও আরএস ২৩৪ নং দাগে ৩৯ শতাংশ ওয়ারিশ সুত্রে মালিক আনো মল্লিকের ছেলে জিন্নত মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছে। উল্লেখিত জমি নিয়ে একই ইউনিয়নের উত্তর জামশা গ্রামের উসমান মন্ডলের ছেলে আরশেদ মন্ডলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে
গত ৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আরশেদ মন্ডল ও তার স্ত্রীসহ আরো ৪/৫ অজ্ঞাতনামা কাটাতারের বেড়া ভাঙচুর করে জমিতে প্রবেশ করে কোঁদাল দিয়ে কুপিয়ে বীজতলা নষ্ট করে। এতে জিন্নত মল্লিকের প্রায় ৬০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়।
ভূক্তভোগী প্রতিবন্ধী কৃষক মো: জিন্নত মল্লিক বলেন, ২০ বিঘা জমির জন্য উন্নতমানের ধানের বীজ সংগ্রহ করে বীজতলা তৈরি করেছিলাম। আরশেদ মন্ডল ও তার স্ত্রী কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আমার জমিতে এসে কুপিয়ে সব বীজতলা নষ্ট করে দিয়েছে। আমার প্রায় ৬০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জমিতে ধান লাগাবো কিভাবে সেটা নিয়েও দু:শ্চিন্তায় আছি। তারা এর আগেও আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকিসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।
বীজতলা নষ্ট করার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত আরশেদ আলী বলেন, ওইটা আমার জমি। এটা নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছিল। আমার পক্ষে রায় হয়েছে। আমার জমিতে অন্যায়ভাবে কেউ বীজতলা লাগালে আমি তো নষ্ট করবোই।
এ বিষয়ে সিংগাইর থানার উপ-পরিদর্শক মনোহর আলী বলেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জিন্নত মল্লিকের সাথে আরশেদ আলীর বিরোধ চলছিল। অভিযুক্ত আরশেদ আলী জিন্নত মল্লিকের বীজতলা নষ্ট করার কথা স্বীকার করেছে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মানিকগঞ্জে গণপরিবহন থেকে বছরে দুই কোটি টাকা চাঁদা আদায়, জড়িত আ.লীগের দুই নেতা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।