জুমবাংলা ডেস্ক: জয়পুরহাটে প্রথমবারের মতো বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় আগামী বছর আরো বড় পরিসরে বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন কৃষক আমেদ আলী।
বেগুনি রঙের ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও সুস্বাদু। পুষ্টিগুণে ভরপুর বেগুনি রঙের ফুলকপির দাম সাধারণ জাতের ফুলকপির চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি।
জানা যায়, জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা গুচ্ছগ্রাম এলাকার কৃষক আমেদ আলী এবার ১৫ শতাংশ জমিতে বেগুনি রঙ্গের ফুলকপি চাষ করেছেন। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই ফুলকপি দেখতে ভিড় করছেন আমেদ আলীর ক্ষেতে।
আমেদ আলী জানান, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় জাকস ফাউন্ডেশনের সমন্বিত কৃষি ইউনিট থেকে বীজ নিয়ে বেগুনি রঙের নতুন জাতের ফুলকপি চাষ করেছেন। সাধারণ জাতের ফুলকপির মতো এর ফলনও ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৫ হাজার টাকার বেগুনি রঙের ফুলকপি বিক্রি করেছেন। আরো প্রায় ৬০ হাজার টাকা বিক্রির আশা করছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘সাধারণ সাদা জাতের ফুলকপি ১০ টাকা পিস বিক্রি হলেও এই ফুলকপি ৬০ টাকা পিস বিক্রি করেছি। নতুন জাত ও দাম বেশি হওয়ায় আগামী মৌসুমে আরো বেশি জমিতে এই ফুলকপি চাষ করার ইচ্ছা আছে।’
কৃষি বিভাগ বলছে, ব্যাপক চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায় আগামী মৌসুমে জেলায় নতুন জাতের এই বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কায়সার ইকবাল বলেন, ‘বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন সদর উপজেলার ভাদসা গুচ্ছগ্রাম এলাকার কৃষক আমেদ আলী। প্রচলিত জাতের মতো বেগুনি রঙের ফুলকপির ফলনও ভাল হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিষমুক্তভাবে বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ হয়েছে। পোকামাকড় দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে ফেরোমন ফাঁদ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।