প্রধানমন্ত্রীকেও আমার অনুমতি নিয়ে ঢুকতে হবে, পদ হারালেন সেই চেয়ারম্যান

মাহবুবুর রহমান বাবুল

জুমবাংলা ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা আওয়ামী লীগ তাকে পদ থেকে অপসারণ করে। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই।

মাহবুবুর রহমান বাবুল

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই জানিয়েছেন, মাহবুবুর রহমান বাবুলকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে কেন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করেছেন তা জানতে চেয়ে এবং কেন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার একটি ওয়াজ মাহফিলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল (লায়ন বাবুল) বলেছেন, আমি বারদী ইউনিয়নের ম্যাজিস্ট্রেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি কখনো বারদী আসেন, তাকেও আমার অনুমতি নিয়ে এ এলাকায় আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন প্রশাসন আমার পক্ষে কাজ করবে, কারও ফোনে প্রশাসন আসবে না। আমি বাবুল যদি বলি সুইচ অফ, দিস ইস অফ। কারণ, আমার যোগ্যতায় আমি চেয়ারম্যান হয়ে আসছি। এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মধ্যেমে ভাইরাল হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে তাকে নিয়ে শুরু হয় অস্বস্তি।

চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল (লায়ন বাবুল) আরও বলেন, ১৯৭৪ সালের পরে বারদীতে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হয়নি। এটা আপনাদের গর্ব, আপনারাই ধরে রাখবেন। শান্তিরবাজার কারও বাপ-দাদার নয়, কেউ ঝামেলা সৃষ্টি করলে হাত-পা ভেঙে আমাকে ফোন দিবেন, তা না হলে আমাকে ফোন দিবেন না।

কাঁচা বাদামের গায়ক ভুবন বাদ্যকর দিলেন বড় দু:সংবাদ

তিনি বলেন, শান্তিরবাজারে কেউ মহড়া দিলে আর তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ না করলে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা মারারও হুমকি দেন তিনি। তার এমন বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাবুল বলেন, আমি এখন পর্যন্ত অব্যাহতির চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে জবাব দেওয়া হবে। আমার বক্তব্য বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে।