জুমবাংলা ডেস্ক: সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের নাগরিক প্রিয়া সাহার করা অভিযোগের কোনো ভিত্তি খুঁজে পায়নি পুলিশ।
পিরোজপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন জানিয়েছেন, প্রিয়া সাহা তার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার যে অভিযোগ ট্রাম্পের কাছে করেছেন তা সঠিক নয়।
তিনি বলেন, ‘প্রিয়ার বাড়িতে আগুন লাগার কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
বুধবার বিভিন্ন ধর্মের ২৭ জন মানুষকে ডেকে তাদের দুর্ভোগের কথা শোনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে মিয়ানমার, নিউজিল্যান্ড, ইয়েমেন, চীন, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, জার্মানি ও বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দেয়া প্রিয়া সাহা ট্রাম্পকে বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশেই থাকতে চাই।’
‘এখনো সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমি আমার ঘরবাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং জমিজমাও দখল করেছে। কিন্তু এর কোনো বিচার হয়নি,’ যোগ করেন তিনি।
কারা জমি ও ঘরবাড়ি দখল করেছে তা ট্রাম্প জানতে চাইলে প্রিয়া সাহা বলেন, সব সময় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনগুলো এসব দখল করেছে।
ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার এ অভিযোগের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। তার বক্তব্য ইতোমধ্যে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।