জুমবাংলা ডেস্ক : পিরোজপুরের নাজিরপুরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ঝালকাঠীর কাঁঠালিয়ায় ৩ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ ও মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনার সথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারী ও ৫ যুবককে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাড়ি জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নে।
কাঠালিয়া থানা পুলিশের ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, শুক্রবার দুপরে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ঝালকাঠী জেলা হাসাপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক নারীসহ ১০ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার কার হয়েছে।
থানায় দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রিমন হাওলাদার তানভীর নামের এক যুবকের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। এরপর প্রেম হয়। গত মঙ্গলবার (২৬ মে) প্রেমিক তানভীর ও তার বন্ধু রায়হান ওই ছাত্রীর সাথে দেখা করতে মোটরসাইকেলে করে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে যান। পরে ওইদিন মোটরসাইকেলে করে তারা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
পথে ঝালকাঠীর কাঠালিয়া উপজেলার পটিয়াখাল ঘাট ইউনিয়ন পরিষদের মাঝের হল এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয় জনির নেতৃত্বে ৯/১০ যুবক তাদের ৩ জনকে আটক করে। এ সময় তারা তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারপর ছাত্রীকে জনি নামের যুবক ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রীসহ তার প্রেমিক তানভীর ও তার বন্ধু রায়হানকে স্থানীয় হোসনেয়ারা বেগম নমের এক নারীর বাড়ির পৃথক রুমে ৩ দিন আটকে রাখে।
এ সময় তাদের অভিভাবকদের কাছে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাতে প্রেমিক তানভীরের পরিবার মুক্তিপণের জন্য চাওয়া টাকার ৩০ হাজার টাকা রিপন জমাদ্দারের হাতে তুলে দেন।
এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় কাঁঠালিয়া থানা পুলিশ তাকে আটক করেন। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী হোসনেয়ারা বেগম নামের এক নারী ও ৫ যুবকসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।