জুমবাংলা ডেস্ক : তিন বছরের বেশি সময় ধরে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেছেন। কথা দিয়েছিলেন বিয়ে করবেন কিন্তু বিয়ের বদলে লাপাত্তা হলেন প্রেমিকার নগদ টাকা হাতিয়ে। খুঁজতে খুঁজতে অভিযুক্ত প্রেমিককে পাওয়া গেলেও বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না তিনি। তাই টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে গেলেন প্রেমিকা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মাচ) এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিক পাবনার ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত প্রেমিক নুরুল ইসলাম শাওন ঈশ্বরদী পূর্বটেংরি ঈদগাহ রোড এলাকার মো. শহীদুল ইসলামের ছেলে। ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি ঈশ্বরদীর সীমান্তবর্তী নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। তিনি ঈশ্বরদী ইপিজেডের কর্মী। তার নাম রূপা।
ভুক্তভোগী রূপার ভাষ্যমতে, ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরির সুবাদে নাটোরের সিংড়া এলাকার মেয়ে রূপার সঙ্গে তিন বছর আগে পরিচয় হয় ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাওনের। সেই পরিচয় থেকে প্রেম। সম্পর্ক গভীর হলে দুজনে ঘুরতে যান দাশুড়িয়ার একটি কাগজ মিলে। সেখানেই রূপাকে প্রথমবার ধর্ষণ করে শাওন। রূপা থানায় অভিযোগ করতে চাইলে শাওনের বাবা মা তাদের বিয়ে করানোর আশ্বাস দেন। এরপর আবার তাদের মেলামেশা শুরু হয়৷
রূপা জানায়, শাওনের বাবা-মা তাকে তাদের ঈশ্বরদী ঈদগাহ রোডের একটি বাড়িতে নিয়ে তোলেন। সেখানেই বিয়ে ছাড়া দুই মাস তাদের অবাধে মেলামেশার সুযোগ করে দেয় শাওনের পরিবার৷ এরপর রূপাকে দুই মাস পর বাড়ি থেকে বের করে দেয় তারা। পুনরায় থানায় মামলা করতে চাইলে রূপার গোপন ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ায় হুমকি দেন শাওন৷
রূপা আরও অভিযোগ করে জানান, পরিবারের সিদ্ধান্তের বাইরে তাকে বিয়ে করবে বলে ব্যবসার জন্য কিছু টাকা দাবি করেন শাওন। রূপা তার সর্বস্ব বিক্রি করে শাওনকে টাকা দিয়ে শেষ বারের মতো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু শাওন টাকা নেওয়ার পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। নিরুপায় রুপা সবকিছু হারিয়ে শাওনকে খুঁজতে থাকেন শহরের আনাচে কানাচে। অতঃপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রেল গেট সংলগ্ন বাস টার্মিনালে শাওনকে পেয়ে বিয়ের দাবি জানান। কিন্তু শাওন রাজী না হওয়ায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরপর রূপা তার কলার চেপে ধরে বলতে থাকে আমাকে বিয়ে করতে হবে এবং এখনি করতে হবে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের ভিড় জমে যায় ঘটনাস্থলে। জনগণ শাওনকে ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, এ ঘটনার কথা জেনেছি। থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।