স্পোর্টস ডেস্ক : প্রেমিক যদি হন খেলোয়াড়, তাহলে কি আদৌ লাভবান হয় তাদের প্রেমিকারা? এমন সহজ সরল এক প্রশ্নই রাখা হয়েছিল ময়দান দাপিয়ে বেড়ানো খেলোয়াড়দের কাছে। আর সেই প্রশ্ন শুনেই তো হাসিতে লুটিয়ে পড়ার উপক্রম তাদের। যাই হোক হাসিটাসি সামলে তারা যা বললেন, তার সারমর্ম লাভ কম। ক্ষতিই বেশি! প্রেমিকার লাখো গঞ্জনা সহ্য করতে হয় প্রেমিক খেলোয়াড়কে।
খেলোয়াড়দের পৃথিবীটাই যে অন্যরকম। পানের থেকে চুন খসে পড়লেই ‘গেল গেল’ রব উঠবে। দলে জায়গা হারাতে হবে। সুযোগ বুঝে অন্য কেউ দলে ঢুকে পড়বে। মানসম্মান নিয়ে টানাহেঁচড়া পড়ে যাবে তখন। আকাশ থেকে মাটিতে পড়ার উপক্রম আর কী! দর কমে যাবে। পয়সার অভাবে তখন ভুগতে হবে। তিলে তিলে সাজিয়ে তোলা বাগান যাবে শুকিয়ে।
তাই সূর্য ওঠার আগেই মাঠে যাও। অনুশীলনে গাফিলতি দিলে হবে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ঘাম ঝরাও। কোচের কথা মেনে অনুশীলন কর। অনুশীলন শেষে লক্ষ্মী ছেলের মতো বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নাও। বেশি রাত একদমই নয়; রাত ৯টার মধ্যে বিছানায় যেতে হবে। কারণ পরের দিনই যে আবার সকাল সকাল মাঠে দৌড়তে হবে। বিছানা শেয়ারিংয়েও আছে বিধিনিষেধ। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার সময় আর কোথায়? বাড়ির কথা ভাবার সময় যে হাতে নেই।
জনপ্রিয় খেলোয়াড় হলে তো আরও সমস্যা। বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। ভক্ত-সাংবাদিকের দল পেছনে লাগবে। ভাল খেলতে না পারলে উপযাচক হয়ে পরামর্শ দিয়ে যাবেন কেউ কেউ। ভারত-পাকিস্তানের মত দেশ হলে হামলার শিকারও হতে পারেন! এই যেমন শচীন রমেশ টেন্ডুলকারের কথাই ধরা যাক। একবার ছদ্মবেশে অঞ্জলির সঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। বিরতির সময়ে শচীনের মেক আপ নষ্ট হয়ে যায়। সবাই তখন শচীনকে চিনতে পেরে যায়। কোনোরকমে সেবার সিনেমা হল থেকে পালিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’। অর্থাৎ প্রেমিক যদি হন এমন জনপ্রিয়, তাহলে কিন্তু ভোগান্তির সীমা নেই।
মুদ্রার অবশ্য অন্য পিঠও রয়েছে। কী সেগুলো? খেলোয়াড় যদি হন নামী তাহলে ভাল ভাল গিফট জুটবে প্রেমিকার। এক খেলোয়াড় প্রেমিক বলছিলেন, “আবদার বাড়বে। কেবল বলবে এটা দিতে হবে, ওটা দিতে হবে; এই আর কী!”
সুবিধা আরও আছে। পর্তুগিজ মহানায়ক ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর অখ্যাত অনামী বান্ধবীর কথাই ধরুন। রোনালদোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির আগে সেই স্বল্পবসনা, লাস্যময়ী নারীকে কেইবা আর চিনতেন? রোনালদোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হতেই বদলে গেল সেই মেয়ের জীবন। প্রচারের আলো তার দিকে। রোনালদোকে চুম্বন করলেই খবর। একসঙ্গে হাতে হাত রেখে ঘুরলে বড় খবর। সবেতেই প্রচারের আলো তার উপরে। এই বা কম কী! কিছু না করেই যদি সেলিব্রিটি হওয়া যায়, তা তো মন্দ নয়।
লাভ কিন্তু সংবাদমাধ্যমেরও। টাটকা খবর, এক্সক্লুসিভ খবর যে পাওয়া যায় খেলোয়াড়দের সহধর্মিণী বা প্রেমিকাদের কাছ থেকেই। যে খবর কোনওদিন বেরোবে না খেলোয়াড়দের কাছ থেকে, প্রেমিকারাই গলগল করে বলে দেবেন তা। আর সেই খবর দিনের আলো দেখলে বাড়বে সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে আসছে। দুনিয়ার প্রেমিকাদের উদ্দেশে বার্তা- দেখেশুনে খেলোয়াড় প্রেমিক বরেরই তালাশ করুন। তাতে জীবন হবে উজ্জ্বল।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.