আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেমের সম্পর্ক মানতে না পেরে তরুণ-তরুণীকে কুপিয়ে হত্যার পর তাদের পুড়িয়ে ফেলে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার (৮ আগস্ট) ভারতের বিহারের অওরঙ্গাবাদের ওই ঘটনায় দুইজনেরই মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকাল জানিয়েছে, তরুণ-তরুণী দুইজনেই অওরঙ্গাবাদের কাপাসিয়া গ্রামের বাসিন্দা। হত্যার শিকার মেয়েটি ১৯ বছর বয়সী এবং তরুণের বয়স ২২ বছর। দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলছিল।
পুলিশ ধারণা করছে, পরিবার এই সম্পর্ক মানতে না পেরেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে অওরঙ্গাবাদের পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার জানান, শনিবার (৮ আগস্ট) সকালে ওই তরুণী তার প্রেমিকের বাড়িতে যান। বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের লোকজন সেখানে পৌঁছায়। তখন ছেলের পরিবারের কেউ বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তরুণীর ভাই তাকে বাসায় ফিরে যেতে বলেন। কিন্তু মেয়েটি যেতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাদের দুইজনকেই কুপিয়ে হত্যা করেন।
তিনি আরও জানান, হত্যার পর তারা মরদেহ দুটি পুড়িয়ে ফেলার জন্য নদীর তীরে নিয়ে যান। কিন্তু স্থানীয় লোকজন ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেয়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর পূর্বেই তারা মরদেহ পোড়ানো শুরু করে। অবশেষ অর্ধদগ্ধ দুইটি মরদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, এই ঘটনার পর দুইজনকে গ্রেফতার ও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। যাদের আটক করা হয়েছে তার সকলেই ওই তরুণ-তরুণীর পরিবারের সদস্য।
তিনি জানান, এই ঘটনায় এফআইআর করা হয়েছে। এতে দুই পরিবারের ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ছেলেটির ভাই ও চাচাকে এরইমধ্যে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনায় তাদেরও হাত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।