নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুরের কালীগঞ্জে মো. তানভীর (১৩) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরআগে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার দড়িসোম গ্রামের পিয়ার হোসেনের বাড়ির টয়লেটে ওই কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয় টিনিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মফিজুর রহমান মল্লিক।
নিহত তানভীর ঢাকার সাভার থানার কান্দাইল এলাকার সৌদি প্রবাসী মো. আসলামের ছেলে। সে উপজেলার রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ (আরআরএন) পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তার নানা বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া গ্রামে। স্কুল নিজ উপজেলার পাশর্^বর্তী উপজেলায় হওয়ায় তার মা-বোন নিয়ে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার দড়িসোম গ্রামের পিয়ার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাতে তানভীরে মা তাকে পড়ার কথা বলে। কিন্তু মায়ের কথা না শোনায় তাকে গাল মন্দ করা হয়। এ সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা বলে টয়লেটে প্রবেশ করে তানভীর। পরে টয়লেট থেকে বের হতে দেরি দেখে তার মা বাহির থেকে ডাকাডাকি করে। কিন্তু তাতে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশিদের সহয়তায় টয়লেটের দরজা ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় তাকে টয়লেটের ভেন্টিলেটরের গ্রীলের সাথে গলায় ছোট বোনের ওড়না পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাহের চিকিসৎক ডাক্তার সজল কান্ত দাস জানান, মৃত অবস্থায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মৃত্যু অস্বাভাবিক দেখে পুলিশে খবর দিলে তার লাশ থানায় নিয়ে যায়।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক জানান, ধারণা করা হচ্ছে মায়ের সাথে অভিমান করেই ওই কিশোর আত্মহত্যা করেছে। তবে এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতের মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তেই হস্থান্তর করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।