ফণী বর্তমানে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আকারে নেই। এটি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বিপদ ও হুঁশিয়ারি সংকেতের পরিবর্তে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে (মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার) ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, স্থানীয় সতর্কতা সংকেতে তারা কাউকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে বলেন না। তবে অমাবস্যার কারণে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যতা বিরাজ করছে। সে কারণে উপকূলীয় জেলাগুলোয় (চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো) ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সমুদ্রবন্দরে যেসব মাছ ধরার ট্রলার আছে, তাদের এখনও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছে অধিদফতর।
শনিবার (৪ মে) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক আয়েশা খাতুন বলেন, ‘আজকে সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের অনেক স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। অনেক স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হয়েছে। আমাদের পূর্বাভাস হচ্ছে, এখনও গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে ঝড়ো হাওয়াসহ, যার গতিবেগ থাকতে পারে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।