ফরিদপুরের অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেন-নসিমন সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন চালক

faridpur

জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের জেরে থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। এসব রেলক্রসিং এলাকায় গেটম্যান না থাকায় অসাবধানতাবশত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে জনসাধারণকে। গত ৭ জানুয়ারি জেলা সদরে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ৬ জন নিহতের ঘটনার এক সপ্তাহ পার না হতেই জেলার বোয়ালমারীতে ট্রেন-নসিমন সংঘর্ষে সুজন মিয়া (২৪) নামে এক নসিমন চালক নিহতের ঘটনা ঘটেছে।ছেলে।

faridpur

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহীগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের সঙ্গে নসিমনের সংঘর্ষে বোয়ালমারী উপজেলার চতুল মুন্সিবাড়ি রেলগেট (অরক্ষিত রেলক্রসিং) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রিফাত (২০) নামে এক রাজমিস্ত্রী আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত সুজন বোয়ালমারী পৌরসভার গুনবহা গ্রামের মনজু মিয়ার ছেলে। নিহতের সায়মা (৩) নামে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত নসিমন চালক সুজন মিয়াসহ কয়েকজন রাজমিস্ত্রী বোয়ালমারী থেকে সিমেন্ট বোঝাইকৃত নসিমনে পার্শ্ববর্তী তেলজুড়ি গ্রামে কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। এসময় টুঙ্গিপাড়া থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী একটি বাসের সঙ্গে চতুল মুন্সীবাড়ি রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় নসিমনের সংঘর্ষ ঘটে। এতে দুই পা ছিন্নভিন্ন হয়ে মারাত্মক আহত সুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে সহস্রাইল বাজার এলাকায় পৌঁছালে সুজন মারা যায়।

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ট্রেন দুর্ঘটনার সুজন নামে একজন আহত রোগী এসেছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শুনেছি তিনি পথেই মারা গেছেন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজবাড়ি রেলওয়ে থানা পুলিশের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক আব্দুল করিম জানান, ওসি স্যার ছুটিতে আছেন। বোয়ালমারীতে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছেন। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ইনজুরির কারণে আসরের মাঝপথেই বিপিএল ছাড়লেন কর্নওয়াল

অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, গত এক সপ্তাহ আগে ফরিদপুর জেলা সদরের মুন্সীবাজার এলাকায় ৬ জন মারা যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত টিম কাজ করছে। অরক্ষিত রেলক্রসিং এলাকায় কিভাবে দুর্ঘটনা এড়ানো যায় সে বিষয়ে রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করেছেন।