স্পোর্টস ডেস্ক: দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেল অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে উঠতে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১৭৭ রান। এক ওভার বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করেন ম্যাথু ওয়েড।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ২০ ওভার শেষে ১৭৬ রান করে পাকিস্তান। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের করা ১৭২ রান। সেটিকে ছাড়িয়ে দুবাইয়ের মাঠে এবারের আসরের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডই গড়ে বাবর আজমের দল।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই অ্যারন ফিঞ্চকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। শাহিন আফ্রিদির তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ হন অজি দলপতি। ১ বল খেলে খাতা খুলতে পারেননি তিনি। শুরুতে উইকেট পড়লেও দলকে চাপে পড়তে দেননি আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। দ্বিতীয় উইকেটে মিচেল মার্শকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন তিনি। দলীয় ৫২ রানে বিপজ্জনক মিচেল মার্শকে আউট করেন শাদাব। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আসিফ আলীর ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ২২ বলে ২৮ রান করেন তিনি। পরের ওভারে স্টিভ স্মিথকে ফিরিয়ে দেন শাদাব খান। স্মিথ ৫ রান করে ফখরের হাতে ধরা পড়েন।
ম্যাক্সওয়েলের বিদায়ের পর জয়ের আশা একেবারে নিভে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু কে জানতো দিনটা ম্যাথু ওয়েড আর মার্কোস স্টয়নিসের। কী অসাধারণ ব্যাটিংটাই না করে তারা দলকে ফাইনালে নিয়ে গেলেন।
দুবাই স্টেডিয়ামে ৭ চার আর এক ছক্কায় পাকিস্তানের ওপেনিং জুটির সংগ্রহ ৭১ রান। ৩৪ বলে ৩৯ করে জাম্পার শিকার পাক অধিনায়ক বাবর। এরপর ফখর জামানকে সাথে নিয়ে দলীয় রান একশো পার করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৪১ বলে নিজের ১১তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন পাক উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একবারই ফাইনাল খেলার সৌভাগ্য হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে হেরে শিরোপা জয়ের স্বাদ বঞ্চিত হয় অজিরা। তবে এবার সেই খড়া কাটলো অস্ট্রেলিয়ার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।