গতকাল কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের ডেসচ্যাম্পস বারবার মেজাজ হারিয়েছেন ও তার অদ্ভুত সিদ্ধান্ত সবাইকে বিস্মিত করেছে। আর্জেন্টিনার মত প্রতিপক্ষকে ফাইনালে ম্যাচে মোকাবেলা করা সহজ হবে না তা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ২ গোল হজম করার পর।
ম্যাচের হাফ-টাইম আসতে এখনও বেশকিছুক্ষণ সময় বাকি। দিদিয়ের অলিভিয়া জিরু ও উসমানি ডেম্বেলেকে মাঠ থেকে তুলে ফেললেন। তারা খুব বেশি গেম টাইম পেলেন না।
হাফ-টাইম শেষ হওয়ার আগেই মাঠের ইন-ফর্ম প্লেয়ারের উপর আস্থা হারানো ও তাকে তুলে ফেলার ঘটনা কাতার বিশ্বকাপে এর আগে ঘটেনি। কোন কোচ এতটা রেগে যাননি। তবে দিদিয়ের তা করে দেখালেন।
অলিভিয়া জিরু কাতার বিশ্বকাপে ইন-ফর্ম ও দুর্দান্ত স্ট্রাইকারদের একজন ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার সাথে ১ম ম্যাচে যখন ফ্রান্স পিছিয়ে পড়েছিলো তখন জিরু এর জোড়া গোল খুব কাজে এসেছিলো।
এবার আসা যাক উসমানি ডেম্বেলের কথায়। কাতার বিশ্বকাপে ডেম্বেলে রাইট উইঙ্গার হিসেবে নিজের সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তার গতি নিয়ে কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না।
অথচ হাফ-টাইমের অনেক আগেই দিদিয়ের তাদের উপর আস্থা হারালেন। দিদিয়ের অনেক রেগে ছিলেন সেটা তার চেহারা দেখেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিলো। দ্বিতীয় হাফে তিনি আরও বিস্ময়কর ঘটনার জন্ম দেন।
তখনও ফ্রান্স ২-০ গোলে পিছিয়ে। দিদিয়ের গ্রিজম্যানকে তুলে ফেললেন। অথচ পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে গ্রিজম্যান কত দুর্দান্ত খেললেন! এমবাপ্পে ও জিরুকে বলের যোগান মূলত গ্রিজম্যানই দিতেন।
শেষ সময়ে আর্জেন্টিনা কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলো। তবে লাওতারো মার্তিনেজের ভুলের কারণে আর্জেন্টিনা গোল পায়নি। কেনো ডিফেন্ডাররা তাকে মার্ক করছে না এজন্য দিদিয়ের দলের এক ডিফেন্ডারকে সাইডলাইনে ডাকলেন ও নিজের ক্ষোভ ঝারলেন।
এতে স্পষ্ট যে, ফ্রান্সের ডিফেন্ডারদের পারফর্মন্যান্স এ দিদিয়ের মোটেও সন্তুষ্ট না। পেনাল্টি নিতে সক্ষম এরকম প্রায় ৪ জন ভালো প্লেয়ার আগেই তুলে ফেলেছেন। যারা পরবর্তী সময়ে মাঠে নেমেছেন তারা দলকে কেবল সমতায় ফিরতে সাহায্য করেছেন, এতটুকুই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।