আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ধর্নাঢ্য প্রযুক্তিবিদ ফাহিম সালেহ (৩৩) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একের পর এক বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট ভিডিও ফুটেজ এবং পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ফাহিমের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস ডেভন হাসপিল হত্যাকাণ্ডের দুদিন পরই পার্টি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এমন ঘটনায় হাসপিলকে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ‘সাইকো’ বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন পুলিশের একটি সূত্র।
যুক্তরাষ্ট্র স্থানীয় সময় শনিবার প্রকাশিত একটি ভিডিওতেও দেখা যায়, রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিমকে খুন করার দুদিন পরই শপিংয়ে যাওয়ার জন্য ক্যাব খুঁজছিলেন হাসপিল। সেই সময় তার সঙ্গে একজন তরুণীও ছিল। ওইদিন শপিং করার পাশাপাশি জন্মদিনের বেলুনও কিনেছেন হাসপিল। হৃদয়ের আকারের একটি বেলুন ও ‘২’ আকৃতির দুটি বেলুন কিনেছিলেন হাসপিল । তবে গত জানুয়ারিতে ২১ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া হাসপিল যে এটি নিজের জন্য কেনেননি সেটি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে শপিং ব্যাগ হাতে উবার থেকে নামছেন হাসপিল। জানা গেছে, এই সময়ের মধ্যে হাসপিল যা কিছু কেনাকাটা করেছেন সবগুলোই ফাহিমের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কিনেছেন। ক্রেডিট কার্ড রেকর্ড অনুযায়ী, ওই নারীকে একটি ব্যাগও কিনে দিয়েছিলেন হাসপিল।
গত ১৫ জুলাই ম্যানহাটনে নিজের অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন ফাহিম সালেহ (৩৩)। লিফটের মধ্যে থাকা সিকিউরিটি ক্যামেরায় দেখা গেছে, অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে ফাহিমের সঙ্গেই প্রবেশ করেছিল সম্পূর্ণ কালো পোশাক পরিহিত হত্যাকারী। পুলিশ যাকে তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। লিফটে সে ফাহিমের সঙ্গে কিছু কথাবার্তাও বলেছিলেন।
লিফট থেকে বের হওয়ার পর ফাহিমের পেছনে আসা হত্যাকারী তার হাত উঁচু করে। এরপরই ফাহিম মেঝেতে পড়ে যান। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ফাহিম সালেহকে বৈদ্যুতিক টেজার গান দিয়ে (যার সাহায্যে মানুষকে সাময়িকভাবে নিশ্চল করা হয়) আঘাত করার পর নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাকে অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে অনুমান পুলিশের। নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।