জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের কাজিপুর এলাকায় পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে স্বামী মশিউর রহমানকে ডিভোর্স দেন স্ত্রী মেরিনা আক্তার। পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন তিনি। তবে হঠাৎ করেই মশিউরের কাছে আবারো ফিরে আসেন মেরিনা। সন্তানদের ভবিষ্যতের বিষয়টি চিন্তা করে মেরিনাকে গ্রহণ করেন মশিউর। নতুন করে আবারো সংসার শুরু করেন তারা। কিন্তু মেরিনার ফিরে আসার পেছনে ছিল অন্য পরিকল্পনা। যা পাঁচদিন পর বুঝতে পারেন মশিউর। তবে এই সময়ের মধ্যে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার হারিয়ে নিঃস্ব হন মশিউর।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে স্ত্রী মেরিনার বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মশিউর রহমান।
অভিযুক্ত মেরিনা আক্তার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
মশিউর জানান, ২০০৫ সালে মেরিনার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সুখের সংসার ছিল। দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে সন্তান আছে। এরমধ্যেই মেরিনা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট তাকে ডিভোর্স দেন মেরিনা। পরে মেরিনা তার পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে করেন। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি আবারো মশিউরের বাড়িতে ফিরে আসেন মেরিনা। ঐ সময় মেরিনা বলেন, সন্তানদের দেখার জন্য এসেছেন।
তিনি আরও জানান, মেরিনা সন্তানদের দেখতে এসে তাকে বলেন ‘আমি যাকে বিয়ে করেছিলাম তাকে ডিভোর্স দিয়েছি, তোমার সঙ্গে আবার সংসার করতে চাই।’ সন্তানদের ভবিষ্যতের বিষয়টি চিন্তা করে মেরিনাকে আবারো বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি (সোমবার) সন্ধ্যায় বাড়ির আলমারি থেকে নগদ ৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যান মেরিনা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে আদমদীঘি থানার ওসি মো. জালাল উদ্দীন বলেন, মশিউর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।