জুমবাংলা ডেস্ক: ফুলের সুবাস নিতে কার না ভালো লাগে। আবার এ ফুল দেখলে মুহূর্তেই নয়ন-মন জুড়ায় যেকোনো মানুষের। আর এই ফুলের চারা বছরের পর বছর ধরে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন মো. মোস্তাফিজ।
প্রায় ১৫ বছর ধরে ভোলার লালমোহন পৌর শহরের ডাকবাংলো সংলগ্ন লালমোহন খালে ট্রলার ভিড়িয়ে ফুল-ফল আর শাক-সবজির চারা বিক্রি করছেন মোস্তাফিজ।
এক সন্তানের জনক মোস্তাফিজের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মলুহার গ্রামের বাসিন্দা।
মোস্তাফিজ বলেন, ‘প্রতি বছর শীতের মৌসুমে ট্রলারে করে নিজ এলাকা থেকে লালমোহনে এসে চারা বিক্রি করি। একবার এসে ৭দিন থাকি লালমোহনে। আসার সময় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার চারা নিয়ে আসি। আমার কাছে ফুল-ফল আর শাক-সবজির সব ধরনের চারা রয়েছে। এ চারা খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করি। এতে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা আয় হয়। সব খরচ বাদে লাভ হয় ৩০০০ হাজার থেকে ৩৫০০ হাজার টাকার মতো। যা দিয়েই চলে আমার সংসার।’
তিনি আরও বলেন, ‘বছরের অন্য মৌসুমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে গিয়ে এসব চারা বিক্রি করি।’
মোস্তাফিজের কাছ থেকে ফুলের চারা কিনতে আসা মো. তানভির হোসেন বলেন, ‘ফুলের অন্য রকম সৌন্দর্য রয়েছে। এই ফুল দেখলে মুহূর্তেই যে কারোর মন শীতল হয়ে যায়। তাই বাড়ির আঙ্গিনাতে ফুল লাগিয়ে সৌন্দর্য বর্ধণ করতে চাই। এজন্য এখানে এসেছি কয়েকটি ফুলের চারা কিনতে। মোস্তাফিজের ফুলের চারার অনেক সুনাম রয়েছে। যে কারণেই এখান থেকে চারা নিতে এসেছি। মানের দিক বিবেচনা করলে এসব চারা কিছুটা সুলভ মূল্যেই পাওয়া যাচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।