জুমবাংলা ডেস্ক : ফেরিতে অতিরিক্ত যাত্রী, প্রখর রোদে গরম আর অক্সিজেনের অভাবে পাঁচ যাত্রী মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ফরিদপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম। বুধবার (১২ মে) বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা জানান তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন ওঠা থেকে শুরু করে নৌপথ পাড়ি দেয়া ও ফেরি নোঙর করে যাত্রী ও যানবাহন নামতে সব মিলিলে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা লেগে যায়। একদিকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ। অন্যদিকে প্রখর রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকাতে ফেরিতে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। এছাড়া তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়েই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে শিবচর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে। পাশাপাশি তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আহত যাত্রীরা জানায়, সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসে শাহপরান নামে একটি ফেরি। অতিরিক্ত যাত্রীদের কারণে পদদলিত হয়ে মাঝ পদ্মায় মারা যায় এক শিশু। পরে ১০টার দিকে শিমুলিয়া থেকে কয়েক হাজার যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে ফেরি এনায়েতপুরি। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে ওই ফেরিতে গাদাগাদির সৃষ্টি হয়। মাঝ পদ্মায় পদদলিত হয়ে মারা যায় আরও ৪ জন। এ সময় আহত হয় অন্তত ১৫ জন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা তাদের মধ্যে ১২ জনকে কাঁঠালবাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্প করে চিকিৎসা দেয়। এছাড়া ৩ জনকে গুরুতর অবস্থায় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘাটের অব্যবস্থাপনার কারনেই এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শশাঙ্ক ঘোষ বলেন, একসাথে অনেকক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকা ও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপাচাপির কারণেই এই দুর্ঘটনা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মাদারীপুরে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু গরম ও হিটস্ট্রোক থেকে হয়েছে বলে জানা গেছে। সব মরদেহের এখনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিন জনের নাম পাওয়া গেছে।
তারা হলেন, শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কলিকাপ্রসাদ এলাকার মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আনিচুর মাতুব্বর (১৪), মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পশ্চিম বালিগ্রামের আলামীন বোপারীর স্ত্রী নিপা বেগম (৪৪) ও বরিশালের মুলাদি উপজেলার চরকালিখান এলাকার এছহাক আকনে ছেলে নুরুউদ্দিন আকন (৪৬)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।