সেন্টমার্টিনের সাগরে জেলে আব্দুল গণির জালে ৩২ কেজি ওজনের একটি পোপা মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি এখনো বিক্রি হয়নি। বিক্রির জন্য মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দরদাম চলছে।শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে সেন্টমার্টিনের সাগরে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গেলে গণির জালে পোপা মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলে আব্দুল গণি।

আব্দুল গণি সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিমপাড়া মৃত সুলতান আহমদের ছেলে। তিনি বলেন, প্রতিদিনের মতো ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে বের হই। মাছ ধরার এক পর্যায়ে জালে বড় আকৃতির একটি পোপা মাছ ধরা পড়ে। মাছটির ওজন ৩২ কেজি। এর মূল্য চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা হতে পারে বলে আশা করছি, তবে এখনো বিক্রি হয়নি। মাছটি দেখতে স্থানীয় লোকজন ভিড় জমিয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত কয়েক বছর ধরে জালে একের পর এক বড় বড় পোপা মাছ ধরা পড়ছে। এসব মাছ বিক্রি করে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি। নিয়মিত পোপা মাছ ধরা পড়ায় স্থানীয়রা আমাকে ‘পোয়া গণি’ নামে ডাকেন।
টেকনাফ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, পোপা মাছের পেটের ভেতর ‘পদনা’ নামে একটি বিশেষ অংশ থাকে, যাকে স্থানীয়ভাবে ‘ফুলা’ বলা হয়। এই পদনা শুকিয়ে ওষুধ তৈরির কাঁচামাল হিসেবে বিদেশে উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়। সে কারণে পোয়া মাছের দাম ও চাহিদা সাধারণের তুলনায় অনেক বেশি।
২০২২ সালের ৮ নভেম্বর আব্দুল গণির জালে ৬০ কেজি ওজনের দুটি পোপা মাছ ধরা পড়ে। পরে মাছ দুটি ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর তার জালে ৩৪ কেজি ওজনের একটি পোপা মাছ ধরা পড়ে, যা তিনি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসেও তার জালে কয়েকটি পোপা মাছ ধরা পড়ে, যা মোট ৬ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গত কয়েক বছরে তার জালে ছোট-বড় মিলিয়ে একাধিক পোপা মাছ ধরা পড়েছে, যা প্রতিবারই উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



