জুমবাংলা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগের কথা জনানো হয়। যেখানে তাকে চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
এ বি এম আবদুল্লাহর জন্ম ১৯৫৪ সালে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের চেয়ারম্যান ও ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সালে তিনি একুশে পদক পান এবং ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে বিভিন্ন নিয়মিত লেখালেখি করছেন। এ ছাড়াও তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য ছয়টির বেশি মেডিকেল পুস্তক রচনা করেছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শর্ট কেসেস ইন ক্লিনিক্যাল মেডিসিন, লং কেসেস ইন ক্লিনিক্যাল মেডিসিন, ইসিজি অব মেডিক্যাল প্র্যাকটিস, রেডিওলজি অব মেডিক্যাল প্র্যাকটিস, স্বাস্থ্যবিষয়ক নির্বাচিত কলাম।
তার রচিত এসব বই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ব্রিটেনসহ আরব বিশ্বের বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। এ ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক কলাম লিখে থাকেন।
ডাক্তার আব্দুল্লাহ শর্ট কেসেস ইন ক্লিনিক্যাল মেডিসিন বইটির জন্য ‘ইউজিসি অ্যাওয়ার্ড ২০১৩’ অর্জন করেন। ২০১৬ সালে গবেষণায় অবদানের জন্য একুশে পদক পান। তিনি ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রদত্ত ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০১৯ সালে ইউজিসি তাকে অধ্যাপক নিযুক্ত করে।
এ ছাড়া পৃথক প্রজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- ফেরদৌস আহমেদ খান, ড. শহীদ হোসাইন, নীলুফার আহমেদ, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও কৃষিবিদ মশিউর রহমান (হুমায়ুন)।
নজরুল ইসলামকে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার, হাসান জাহিদ তুষারকে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব পদে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গাজী হাফিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ (এপিএস), আবু জাফর রাজুকে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২, আন্দ্রিয় স্কুকে প্রধানমন্ত্রীর ফটোগ্রাফার, রাশিদুল হাসানকে (রাসু) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে কম্পট্রোলার, আরিফুজ্জামান নূরনবী, আফরোজা বিনতে মনসুর (গাজী লিপি) ও সনজিত চন্দ্র দাসকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে প্রত্যেক কর্মকর্তাকে তাদের স্ব স্ব পদে ও বেতনে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।