জুমবাংলা ডেস্ক : লঞ্চ ভ্যাসেল ফাইন্ডার্স বাংলাদেশ’ নামের ফেসবুক ট্রাভেলার গ্রুপের প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় মূলহোতা জাকারিয়াসহ তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুধবার সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রিমান্ড মঞ্জুরকৃত অপর আসামিরা হলেন- জাহিদ ইবনে জাহান ও সোহরাব হোসেন টিটু।
এদিন তিন আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি জাকারিয়ার তিন দিন এবং আসামি জাহিদ ও সোহরাবের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর কল্যাণপুর, ঢাকার আশুলিয়া ও চাঁদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। এ সময় তাদের ব্যবহৃত নামে-বেনামে ১৮টি ফেসবুক আইডি উদ্ধার করা হয়।
ডিবি জানায়, এক ভুক্তভোগী প্রতারণার মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা খুইয়েছেন-এমন অভিযোগে গত ২৩ মে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় অভিনব এ প্রতারণার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী মনপুরা ভ্রমণে গিয়ে প্রতারক জাকারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় এবং একপর্যায়ে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর তারা একসঙ্গে চাঁদপুর-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে যায়। সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার সুযোগে একসময় ভুক্তভোগী ওই যুবককে আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত বিপণন প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন, ইবের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসার প্রস্তাব দেয়া হয়। ভুক্তভোগী রাজি হলে ডোমেইন কেনা, ওয়েবসাইট বানানোর নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন জাকারিয়া।
মামলার সূত্রে জানা যায়, যত বেশি ডোমেইন তত বেশি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে একে একে ৪২টি ডোমেইনের টাকা নেয়া হয়। ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে, উদ্ধার করতে কিংবা সিকিউরিটির কথা বলে নেয়া হয়েছে ধাপে ধাপে মোটা অংকের টাকা। আমেরিকা থেকে উন্নত ওয়েবসাইট বানানোর কথা বলেও টাকা আদায় করা হয়।
এক্ষেত্রে নিজেই বিভিন্ন নামে ফেসবুক আইডি খুলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কখনো হ্যাকার সেজে, কখনো আমেরিকা প্রবাসী কিংবা আইটি এক্সপার্ট সেজে কথা বলতো একটি অভিনব প্রতারক চক্র।
বিনিয়োগের মুনাফা দেয়ার সময় এলেই জাকারিয়াসহ তার সঙ্গীরা শুরু করতেন টালবাহানা। এমনকি ভুক্তভোগী মেয়ের ছবি যুক্ত করে ওয়েবসাইটে পর্ন ছেড়ে দেয়ার হুমকিও দেয়া হতো। বিভিন্ন সময়ে নানা পন্থায় ভুক্তভোগী যুবকের কাছ থেকে চক্রটি ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।