জুমবাংলা ডেস্ক : মিরপুর-১৪ নম্বরে পুলিশ লাইনে পুলিশ সদস্য শাহ মো. আবদুল কুদ্দুসকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে তার স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম ইলিয়াস মিয়ার আদালতে মামলাটি করেন আবদুল কুদ্দুসের মা সৈয়দা হেলেনা খাতুন। মামলার আসামিরা হলেন- আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী সৈয়দা হাবিবুন্নাহার (নাহিন) ও শাশুড়ি রুনিয়া বেগম।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ২৩ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর মিরপুর পুলিশ লাইনে আবদুল কুদ্দুস নিজের রাইফেল দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ভোর সোয়া ৫টার দিকে তিনি অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র নিয়ে ডিউটির জন্য বের হন। পরে পুলিশ লাইনের মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যা করেন। আবদুল কুদ্দুস সিলেটের রসুলপুরের মৃত শাহ মো. আবদুল ওয়াহাবের ছেলে।
আত্মহত্যার আগে ওই পুলিশ সদস্য ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করব না। আমার ভেতরের যন্ত্রণাগুলো বড় হয়ে গেছে, আমি আর সহ্য করতে পারছি না। প্রাণটা পালাই পালাই করছে। তবে অবিবাহিতদের প্রতি আমার আকুল আবেদন আপনারা পাত্রী পছন্দ করার আগে পাত্রীর মা ভালো কি না তা আগে খবর নেবেন। কারণ পাত্রীর মা ভালো না হলে পাত্রী কখনই ভালো হবে না। ফলে আপনার সংসারটা হবে দোজখের মতো। সুতরাং সকল সম্মানিত অভিভাবকদের প্রতি আমার শেষ অনুরোধ, বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবেন। আল্লাহ হাফেজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।