জুমবাংলা ডেস্ক : বাঙালির প্রাণের অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১১ দিন চলে গেলেও এখনও জমে উঠেনি মেলা। বই বিক্রি কম হওয়ায় উল্টো মেলার স্টল থেকে চাকরি হারাচ্ছেন অনেক বিক্রেতা। রবিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণে কয়েকটি স্টলের বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
প্রকাশকরা জানিয়েছেন, করোনার কারণে এবারের বইমেলা শুরু হয়েছে মার্চ মাসে। মেলা ভিন্ন সময়ে শুরু হওয়ায় অনেক পাঠক বইমেলায় আসছেন না। আবার অনেকে তীব্র রোদ্রের কারণে আসছেন না। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। যার কারণে অনেক পাঠক মেলায় আসতে ভয় পাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা জানান, শনিবার দি ইউনিভার্সেল একাডেমিতে বই কম বিক্রি হয়েছে। যার ফলে ওইদিন বিক্রেতাদের সাথে অসদাচারণ ও তাদের বিকালের নাস্তা দেননি প্রকাশক। একই সাথে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও ওই বিক্রেতা জানান।
তবে, বিক্রেতাদের সাথে অসদাচারণ ও তাদের নাস্তার বিষয়টি অস্বীকার করলেও চাকরিচুত্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্টলের প্রকাশক মো. শিহাব উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, অসদাচারণ ও তাদের বিকেলের নাস্তার বিষয়টি নিয়ে আমি লজ্জিত। এ কথা সত্য নয়। তবে মেলায় কম বিক্রি হওয়ায় আমি আপাতত তাদের আসতে না করেছি।
শুধু দি ইউনিভার্সেল একাডেমি নয়, মেলায় কয়েকটি নামি প্রকাশন ছাড়া বাকিগুলোর অবস্থা একই রকম। বিক্রি একেবারে কম বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।
রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বাংলা প্রকাশ বিক্রি করেছে মাত্র নয়টি বই। এ বিষয়ে বাংলা প্রকাশকের বিক্রেতা ইমরান হাসান বলেন, যারা মেলায় আসে তার ঘুরতে আসে। খুব কমই বই কিনছে। অন্যান্য বছরে মেলায় সাধারণ দিনে পঞ্চাশ হাজারের বেশি বিক্রি হত। ছুটির দিনে লাখ টাকার বেশি। কিন্তু এ বছর কোনোদিনেই পঞ্চাশ হাজারের বেশি বিক্রি হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।