জুমবাংলা ডেস্ক : আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পরে চলে গেলাম’ চিরকুট লিখে শুক্রবার রাতে নজরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ নিজ বাড়ির পুকুর পাড়ের একটি আম গাছ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে শনিবার দুপুরে বরগুনার মর্গে পাঠিয়েছে।
শিক্ষক নজরুল ইসলাম আমতলীর উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের মো. খালেক খানের ছেলে। তিনি আমতলী সদর ইউনিয়নের খলিয়ান নামকস্থানের ছোবাহান বিশ্বাস কিন্টার গার্টেন বিদ্যালয়ে খণ্ডকালিন চাকরি করতেন।
জানা গেছে, মো. নজরুল ইসলাম (৩২) এর সঙ্গে একই গ্রামের দুলাল ভুইয়ার মেয়ে খাদিজা বেগমের দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দেড় মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে অভাব-অনটনের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
প্রতিবেশীরা এ নিয়ে একাধিকবার সালিশে বসেন। শুক্রবার বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ফেরেননি নজরুল। অনেক জায়গায় খোঁজ করে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার সকাল ১০টার সময় বাড়ির পুকুর পাড়ের আম গাছে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় এক কিশোর। সে চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। পরে পুলিশকে খবর দেন তার স্বজনরা। পুলিশ দুপরে তার লাশ উদ্ধার করে। এসময় নজরুলের জামার পকেট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। চিরকুটে লেখা ছিল ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পরে চলে গেলাম’।
নজরুলের স্ত্রী খাদিজা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, আমার সঙ্গে ঝামেলা ছিল না। কিন্তু কেন এভাবে চিরকুট লিখে চলে গেল জানিনা।
নজরুলের বাবা খালেক খান বলেন, আমার বাবার কি অসুবিধা ছিল আমি কিছুই জানি না। টাকা লাগলে আমি দিতাম তারপরও বাবা কেন তুই মইর্যা গেলি, ও আমার বাবারে তুই ফির্যা আয়।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখওয়াত হোসেন তপু বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। চিরকুট আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।