জুমবাংলা ডেস্ক: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামে শ্বশুর-বাড়িতে কনেকে সাজাতে দেরি করায় লাঠিসোটা নিয়ে বর ও কন্যাপক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১২ জন। শুক্রবার (৪ জুন) বিকেলে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (৪ জুন) দুপুরে কন্যাপক্ষের লোকদের খাবার শেষে কনেকে সাজাতে দেরি হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এ সময় উভয়পক্ষের ১১ থেকে ১২ জন আহত হন।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামের আব্দুর রহমান ফকিরের ছেলে সোহেবের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মৌডুবী ইউনিয়নের মাঝের দেওর গ্রামের মোরশেদ হাওলাদারের মেয়ের বিয়ে হয়। গত বুধবার বরপক্ষ এসে কনেকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যায়। দুই দিন পর শুক্রবার (৪ জুন) কনে পক্ষের লোকজন বরের বাড়িতে কনেকে আনতে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সোনা মিয়া বলেন, মেয়েদের বাড়িতে থেকে ৩০ জন আসার কথা থাকলেও এসেছিল ৫০ জনের বেশি। এ নিয়ে বরপক্ষ মনক্ষুন্ন ছিল।কনেকে প্রস্তুত করতে দেরি হলে কন্যাপক্ষ উত্তেজিত হয়। পরে দুই পক্ষের লোকজন বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে হাতাহাতি হয়। সবশেষে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির মীমাংসা হয়।
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। আমরা পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জেনেছি স্বামী-স্ত্রীকে নিয়ে গেছেন মেয়ে পক্ষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



