জুমবাংলা ডেস্ক: জ্যৈষ্ঠের তীব্র খরতাপেও বগুড়ার সোনাতলায় চলছে বোরো ধান কাটা ও মাড়াই। ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে গ্রামের কৃষকেরা। পরে শুরু হয় ধান মাড়াই ও শুকানোর উৎসব। যার মূল অংশীজন হলেন বাংলার নারীরা।
জানা যায়, বাংলার নারীরা দিনরাত একাকার করে ঘাম ঝরিয়ে ধান মাড়াই, রাত জেগে বড় বড় চুলায় ধান সেদ্ধ করা, সেদ্ধ ধান রোদে দেওয়া, সময়ে সময়ে পা দিয়ে উলোট পালোট করে দেয় সোৎসাহে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলেই শুরু হয় দলেবলে নারীদের ধান একত্রিত করার তাড়াহুরো। ধান শুকানো অবস্থায় হঠাৎ বৃষ্টি আসলে ডালি, কুলো হাতে নারীদের দৌড়াদৌড়িতে ধান কাটা-মাড়াইয়ে আসে ভিন্ন আমেজ। খর শুকানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় ধান মাড়াই ও শুকনো করার মহোৎসবের। চনমনে রোদে মেঘবৃষ্টির সঙ্গে লুকোচুরি শেষে খড়ের গাদায় খড় তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাঙালি নারীদের ধান মাড়াই ও শুকনো করার মহোৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটে, নারীরা তোলে তৃপ্তির ঢেকুর।
সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের যমুনাতীরের পূর্ব তেকানী গ্রামে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাঙালি নারীদের ধান নিয়ে এমন ঘামঝরানো আনন্দ-উচ্ছ্বাস।
কথা হয় ধান মাড়াই কাজে ব্যস্ত আমেনার সঙ্গে। আমেনা জানান, ধানের মৌসুমে ধান বাড়িতে আসলে তারা আর বসে থাকতে পারে না। নিজেরাই স্বতস্ফূর্তভাবে নেমে পড়েন ধানের নানা কাজে। এতে তাদের পরিশ্রম হলেও তারা আনন্দ অনুভব করি। এটিকে তাদের কাছে উৎসব মনে হয়। পাশাপাশি এ কাজে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের পরিবারের আর্থিক সাশ্রয় হয় বলে জানান তিনি।
পূর্ব তেকানী গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন টিটু এ বিষয়ে বলেন, ‘ধান কাটা শুরু হলে মা-বোনেরা কাজে সহযোগিতা করে। নিষেধ করলেও তারা ঘরে বসে থাকে না। ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজে বাংলার নারীদের অংশগ্রহণ আমাদের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা আমাদের বাংলাদেশের সৌন্দর্যও বটে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।