রোববার রাতে শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় জবানী স্কুলের কাছে বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নূপুরকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
বগুড়া মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবদুল আজিজ মণ্ডল জানান, শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার আবদুর রাজ্জাক প্রায় ৯ বছর আগে রংপুরে টিঅ্যান্ডটিতে হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি করতেন। তিনি তখন প্রায় ৫ বছর বয়সী নূপুরকে পালার জন্য তার ফুফুর কাছে মাত্র ১০০ টাকায় কিনে নেন। নূপুরকে লেখাপড়া করানো হয়নি। তার (রাজ্জাক) এক ছেলে এসি ল্যান্ড ও এক মেয়ে জামাই প্রকৌশলী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নূপুর জানায়, বাড়িতে কাজে কোনো ভুল করলে পালক মা রোকসানা তাকে মারপিট করেন। রোববার বিকালে সে সৌন্দর্যের জন্য মাথার সামনের চুল কাটে। এতে পালক মা রোকসানা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারপিট ও আরও চুল কেটে দেন। ক্ষোভ ও অভিমানে নূপুর রাতে ঘরে থাকা ইঁদুর মারার ওষুধ (বিষ) পান করে।
পালক বাবা আবদুর রাজ্জাক টের পেয়ে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। মামলা হতে পারে এ ভয়ে রাজ্জাক ও রোকসানা দম্পতি বাড়ি থেকে সরে রয়েছেন বলে এলাকাবাসীরা নিশ্চিত করেছেন।
তারা অভিযোগ করেছেন, ওই দম্পতি নূপুরকে সন্তান নয়, কাজের মেয়ে হিসেবে রেখেছেন। তারা নূপুরকে লেখাপড়ার সুযোগ দেননি। কথায় কথায় মারপিট করে থাকেন।
এসআই আবদুল আজিজ মণ্ডল জানান, নূপুরের অবস্থা উন্নতির দিকে। পালক বাবা-মা পালিয়ে যাননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।