জুমবাংলা ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর এক টুইট বার্তায় আজ লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বাংলাদেশের উন্নয়নে সাহসিকতা ও অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য তিনি চিরজীবী হয়ে থাকবেন।
তিনি আরও লেখেন, আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমিও যুক্ত থাকব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা তার অনুভূতি প্রকাশ করবেন। এরপর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শেখ রেহানার লেখা কবিতা প্রধানমন্ত্রীর আবৃত্তিতে প্রচার করা হবে। বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থার প্রধানদের বাণীও প্রচার করা হবে অনুষ্ঠানে।
উল্লেখ্য, একশ বছর আগে আজকের এই দিনে (১৯২০ সালের ১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অর্থাৎ ইতিহাসের এই দিনে শতবর্ষে বাঙালির মহানায়ক। সেখান থেকে উঠে আসা শেখ মুজিব দীর্ঘ সংগ্রাম, জেল, জুলুমের মধ্য দিয়ে পর্যায়ক্রমে বাঙালি জাতির নেতা, স্বাধীনতার স্থপতি ও মহানায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। কৃতজ্ঞ জাতির পক্ষ থেকে উপাধি পেয়েছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু’।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় শেখ মুজিব ছিলেন তরুণ ছাত্রনেতা। পরবর্তীকালে তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। সমাজতন্ত্রের সমর্থনকারী একজন অধিবক্তা হিসেবে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগোষ্ঠীর প্রতি সবধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। জনগণের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি একসময় ছয় দফা স্বায়ত্তশাসন পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন। তারই নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য উদ্বুদ্ধ হয় বাংলাদেশের জনগণ।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় তাকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা তাকে সপরিবারে হত্যা করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।