স্বাস্থ্য ডেস্ক : এবার নতুন বছরের শুরুটা হয়েছে শীতকালে। এ মৌসুমে ঠান্ডাজনিত রোগ হওয়াটা স্বাভাবিক হলেও ডেঙ্গু রোগ এমন প্রকোপ অতীতে দেখা যায়নি। বছরের শুরুতেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে দেশে বর্তমানে ২ ধরনের রোগে আক্রান্তের হার বেশি। এরমধ্যে প্রথমটি ঠান্ডাজনিত রোগ, যেমন-নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি। ইত্যাদি। দ্বিতীয়টি মশাবাহিত রোগ, যেমন-ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া ইত্যাদি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে এ চিত্র উঠে এসেছে।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (৩ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৪ জানুয়ারি সকাল ৮টা) নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার ২৯টি বেসরকারি ও ১২টি সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন। আর ঢাকা মহানগরী ছাড়া ঢাকাসহ আট বিভাগে ভর্তি হয়েছেন দুই জন।
গত বছরের আগস্টে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা রেকর্ড ছাড়ালেও বছরের শেষে ডিসেম্বরে সে সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নতুন আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা সর্বনিম্ন পাঁচ জন ছিল বলেও সেসময় জানায় কন্ট্রোল রুম।
কন্ট্রোল রুমের হিসাব থেকে জানা যায়, নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৩ জন, আর হসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন আট জন। ভর্তি থাকা ৪৩ জনের মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত হাসপাতালে আছেন ৩৬ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি আছেন সাত জন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) নতুন বছরে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যুর তথ্য না দিলেও গত বছরে তারা ১৪৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এদিকে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক লাখ এক হাজার ৩৪৪ জন। আর চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন এক লাখ এক হাজার ১৮ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।