জুমবাংলা ডেস্ক : বাদশা ও হাতেম দুই বন্ধু। চলাফেরা থেকে একসঙ্গে তারা মা*দক নিতেন। গত ৯ এপ্রিল টাঙ্গাইলের সন্তোষ ঘোষপাড়ার মৃ*ত গুইঠ্যার ছেলে বাদশা মা*রা যান। বন্ধুর মৃ*ত্যু মেনে নিতে পারেননি একই এলাকার ৬৫ বছর বয়সী হাতেম। এজন্য গত শুক্রবার রাতে কবর খুঁড়ে বাদশার মরদেহ বের করেন আনেন। এরপর নিজের কাছে রাখতে আরেক কবর খুঁড়ে রাখার সময় তা জানাজানি হয়।
টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খবর দিলে পীর শাহজামান দিঘির পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার ও মাতাল হাতেমকে আ*টক করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বাদশা ও হাতেম মানসিক ভারসাম্যহীন। দুই বন্ধু মা*দক নিতেন। মাতাল অবস্থায় এলাকায় ঘোরাফেরা করতেন।
এরই মধ্যে গত ৯ এপ্রিল হঠাৎ বাদশাহ মারা যান। বড় বেলতা দক্ষিণ পাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
বাদশার মৃ*ত্যুর পর একা হয়ে পড়েন হাতেম। এরই জের ধরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাদশাহর ম*রদেহ এনে পীর শাহজামান দিঘির পাড়ে কবর খুঁড়ে দাফন করতে যান।
কাঁগমারী পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান জানান, বাদশাহর মরদেহ আগের কবরেই রাখা হয়েছে। আ*টকের পর জিজ্ঞাসাবাদে হাতেমকে পাগল ও নে*শাগ্রস্ত মনে হয়েছে। এজন্য তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।