জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাস থেকে বরিশালবাসীকে মুক্ত রাখতে নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা চকবাজার গির্জা মহল্লা, কাঠপট্টি ও বাজার রোডসহ বিভিন্ন এলাকার শপিংমল দ্বিতীয়বারের মতো বন্ধ ঘোষণা করার পরও দোকানপাট খোলা রাখা এবং কেনাকাটা কমেনি।
জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের চোখ ফাঁকি দিয়ে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের কর্মকাণ্ড। বিশেষ করে ঈদের কেনাকাটায় পুরুষের চেয়ে বেপরোয়া নারী ক্রেতাগণ। তাদেরকে কোনোভাবেই আটকাতে পারছেন না ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসন থেকে নগরীর সব মার্কেট পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়ার পরও সকাল থেকে নগরীর চকবাজার, পদ্মাবতী কাঠপট্টি, গির্জা মহল্লা ও ফজলুল হক অ্যাভিনিউ, হাজি মোহাম্মদ মহসিন মার্কেটে বিগত দিনের মতো উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
অন্যদিকে শপিং মল বন্ধ রাখার নির্দেশনা আসার পর ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার ধরণও পাল্টিয়েছে বলে জানা গেছে। তারা ক্রেতাদের ভেতরে ঢুকিয়ে দোকানে তালা ঝুলিয়ে বাহিরে কর্মচারীদের পাহাড়ার জন্য দাঁড় করিয়ে রাখছেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আফরোজ নগরীর চকবাজারের নিউ বিশ্বশ্রী নামের একটি বন্ধ দোকানের সামনে এসে অবস্থান নেয়।
পরবর্তী দোকান মালিককে ডেকে দোকানের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। ভেতরে লোকজন না দেখে শাড়ির শো-রুমে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের।
এ সময় দোকান মালিককে তালাবদ্ধ কিসের রুম জানতে চাইলে বাথরুম বলে জানান তিনি। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বাথরুমের তালাও খোলা হয়।
বাথরুমের তালা খুলতেই দেখা যায় শাড়ির শো-রুম রয়েছেন নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৫ থেকে ২০ ক্রেতা এবং দেখা যায় তারা সবাই পোশাক কিনে শুধু বের হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
মিথ্যা বলার অপরাধে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত দোকান মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বরিশাল জেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, ‘আজ দ্বিতীয়বারের মতো আবার মার্কেট বন্ধ করার কারণে হয়তো অনেক ক্রেতা জানে না। সে কারণে আজকে তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু ব্যবসায়ীরা যা করছেন তা নিজের এবং পরিবারের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।