অনিল চন্দ্র রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: সাংবাদিক দেখে মাদারীপাড়ার বন্যার্ত মানুষ হাউমাউ করে কেঁদে কেঁদে বলতেছিলেন, ‘আমাদের দুঃখ দুর্দশা দেখতে কেউ আসে না। আমরা একছিটা ত্রাণও পাইনি। অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছি।’
কুড়িগ্রামের চিলমারী ও উলিপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেষা এবং গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শেষাংশের ছোট গ্রাম মাদারীপাড়া। এখানে প্রায় ১৫০টি পরিবারের বাস। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে তিস্তা নদী পেরিয়ে ১৫ কিলোমিটার চরের পথ পেরিয়ে এ গ্রামে আসতে হয়।
বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো গ্রামটিতে ফিরতে শুরু করেছে। দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম এবং গ্রামটিতে যাওয়ার পথ অনেকটা দুর্গম হওয়ায় এখানে কেউ ত্রাণ নিয়ে আসেননি।
শনিবার চ্যারিটি সংস্থা চকসা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জুমবাংলার সম্পাদক হাসান মেজরের সাথে দুর্গম চরের পথ পেরিয়ে গ্রামটিতে পৌঁছান কয়েকজন সাংবাদিকও।
সাংবাদিকদের দেখে লাল মিয়া মুন্সি (৭০), মেহেনা খাতুন (৮০), ছকিনা খাতুন (৯০) ছাবির বেওয়া (৭৫)সহ অনেকেই হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন, ‘বাবা আমাদের দুঃখ দুর্দশা দেখার জন্য কেউ আসেননি। আমাদের অবস্থা অনেকটা ছিটমহলবাসীর মতো। দুই উপজেলার সীমান্তে থাকার কারণে আমাদের কেউ খোঁজ নেয়না। গ্রামটা একটু দুর্গম হওয়ার কারণেও অনেকে এখানে আসেননা। রিলিফ কি জিনিস আমরা দেখি নাই।’
পরে বন্যার্ত বয়স্ক মহিলাদের মাঝে চকসা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক হাসান মেজর শাড়ি এবং নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সমাজ সেবক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার রেজাউল করীম প্লাবন, চিলমারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের উপজেলা সংবাদদাতা নজরুল ইসলাম সাবু, ফুলবাড়ী উপজেলার দৈনিক ইত্তেফাকের সংবাদদাতা অনিল চন্দ্র রায় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের রেফারি হাসান মিলন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সরকারের নিবন্ধণ পাওয়ার পর থেকে চকসা ফাউন্ডেশন বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও তীব্র শীতে দুঃস্থ অসহায় বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য কাজ করে আসছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।