লাইফস্টাইল ডেস্ক: বয়স কেবল সংখ্যা মাত্র এ কথাটা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ সবাই স্বাস্থ্য সচেতন নয়। নিজেকে ফিট রাখতে হলে অবশ্যই তাকে কিছু নিয়ম মেনে চলে হয়। খাবারেও আনতে হয় পরিবর্তন। নিজেকে চিরতরুণ রাখতে নিয়মিত ডায়েটে বেশকিছু খাবার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলুন জেনে নিই- কী খাবেন ও এসব খাবারের গুণাগুণ
গাজর: গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন এবং কমলা রঞ্জক, যা শুধুমাত্র ত্বককে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে না বরং রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক গ্লাস এই সবজির রস পান করলে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয় এবং ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
আঙ্গুর: টক-মিষ্টি এই ফলটিতে রয়েছে রেসভেরাট্রল এবং ভিটামিন-সি। অ্যান্টি-এজিং গুণে সমৃদ্ধ আঙ্গুর ত্বকের কোষ ভেঙে যাওয়াকে রোধ করে। বেগুনি আঙুরের রস যদি প্রতিদিন খাওয়া যায় তবে এটি ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকিও কমাতে পারে।
কমলালেবু: সাইট্রাস ফল কমলালেবু শুধুমাত্র ভিটামিন সি সমৃদ্ধ নয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও রয়েছে। এই উপাদানগুলো শুধু ত্বকের জন্যই ভালো নয়, ক্যানসার প্রতিরোধে এবং কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
পেঁয়াজ: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধপেঁয়াজ ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধা থেকে রক্ষা করে। এর পাশাপাশি পেঁয়াজ শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
বাঁধাকপি: এতেও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা শুধুমাত্র কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে না, ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মি থেকেও ত্বককে রক্ষা করে। বাঁধাকপি খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হল হালকা ভেজে বা ভাপে। এতে এর পুষ্টিগুণ শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়।
পালং শাক: পালং শাক বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। এই শাকে ভিটামিন-কে থাকে, যা রক্তনালীকে শক্তিশালী করে এবং ফুসফুসের ক্যানসার ও হৃদরোগ থেকে শরীরকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে।
টমেটো: টমেটো হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লাইকোপিনের অন্যতম প্রধান উৎস। এটি খাদ্যনালী, পাকস্থলী এবং কোলন ক্যানসার থেকে শরীরকে রক্ষা করে। টমেটো তরুণ চেহারা রক্ষায় সহায়ক বলেই যুগ-যুগ ধরে প্রমাণিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।