জুমবাংলা ডেস্ক: পদ্মা সেতুর ২৫তম স্প্যান বসেছে। শুক্রবার শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ২৯ ও ৩০ নম্বর পিলারের উপর স্প্যানটি বসানো হয়। এর মাধ্যমে সেতুর তিন হাজার ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
এর আগে সেতুর ২৫তম স্প্যানটি নদীর চ্যানেল ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। আর ২৪তম স্প্যান বসানোর ১০ দিন পর বসানো হলো ২৫তম স্প্যানটি। সেতুর আর মাত্র ১৬টি স্প্যান বসানো বাকি থাকলো।
সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, মাওয়া প্রান্তে ট্রাস্ট ফেব্রিকেশন ইয়ার্ডের ভেতরে প্রস্তুত রয়েছে আরো ২টি স্প্যান। অ্যাসেম্বলিং করা হয়েছে আরো ৩টি। বাকিগুলো ওয়েল্ডিং পর্যায়ে রয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৪২টি পিয়ারের ওপর ৪১টি স্প্যানে গড়ে উঠবে পুরো পদ্মা সেতু। মূল নদীতে ৪০টি পিয়ার। নির্মাণকাজের শুরুতে মূল নদীর প্রতিটি পিয়ারে পাইলের সংখ্যা ছিল ৬। আর দুই প্রান্তে ১ ও ৪২ নম্বর পিয়ারে ১২টি করে মোট ২৪টি পাইল। সব মিলিয়ে ৪২টি পিয়ারে পাইল ছিল ২৬৪টি। কিন্তু নদীর গভীর তলদেশে কাদামাটির স্তর থাকায় নতুন নকশা করতে হয়। নতুন এই নকশায় ১ ও ৪২ নম্বর পিয়ারের ১৬টি করে মোট ৩২টি পাইল করা হয়। আর ২২টি পিয়ারে সাতটি করে পাইল ১৫৪টি এবং ১৮টি পিয়ারে ছয়টি করে মোট ১০৮টি পাইল রাখা হয়। সব মিলিয়ে ২৯৪টি পাইলে ৪২টি পিয়ারে থাকবে পদ্মা সেতু।
এখানে প্রায় ২৫ হাজার দেশী বিদেশী শ্রমিক কাজ করছেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি , নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন এবং প্রকল্প এলাকা জুড়ে সার্বিক তত্ত্ববধায়নসহ কঠোর নিরাপত্তায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা, যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।