স্পোর্টস ডেস্ক : গত কয়েক বছর ধরেই ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই জমজমাট লড়াই। দুই দলের সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই জয় বাংলাদেশের। গত বিশ্বকাপে তো ফেভারিট ভারতকে কাঁপিয়েই দিয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও শেষ পর্যন্ত হেরেছিল ২৮ রানে। তবে আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের কোনো সুযোগই দেখছেন না নিউ জিল্যান্ডের সাবেক পেসার ও ভারতের সাবেক ক্রিকেটার দীপ দাসগুপ্ত। বন্ডের দাবি, প্রতিপক্ষকে হারাতে শতভাগও দেওয়া লাগবে না ভারতকে।
দুই দলের লড়াইয়ে অবশ্য স্পষ্ট ফেভারিট ভারত। পরিসংখ্যানও বলছে তাই, বাংলাদেশ-ভারত এখন পর্যন্ত খেলেছে ৪০ ওয়ানডে, যেখানে ৩১টিই জিতেছে ভারত। বাংলাদেশ জিতেছে ৮টি। আর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে প্রথম ম্যাচটা হারার পর টানা তিনটিতে জিতেছে ভারতীয়রা
তবুও ভারতের সঙ্গে খেলা এলেই যেন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। দেখা যায় ‘যুদ্ধ–যুদ্ধ’ ভাব। বাংলাদেশ দলও জ্বলে ওঠে প্রতিবেশীদের সঙ্গে মাঠ নামলে। সবশেষ চার ম্যাচের তিন জয়ই এর প্রমাণ। যদিও ওইসব লড়াইয়ে পূর্ণ শক্তির দল ছিল না ভারতের।
চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দে আছে ভারত। আর বাংলাদেশ খেলছে এলোমেলো ক্রিকেট। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেও পরের দুই ম্যাচে হেরেছে বড় ব্যবধানে। ছন্দহীনতার কারণেই বাংলাদেশের কোনো সুযোগ দেখছেন না বন্ড ও দাসগুপ্ত।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোতে এক অনুষ্ঠানে অঘটনের কোনো সুযোগ আছে কি না, সেই প্রশ্নে নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার বন্ড বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে? একদমই না। আমার মনে হয়, ভারত দল দুর্দান্ত ছন্দে। আর বাংলাদেশ এখনো তাদের সেরাটা দিতে পারেনি। ৮০ শতাংশ দিতে পারলেও জয় পাবে ভারত। আমার মনে হয়, ভারত খুব সহজেই জিতবে।’
বাংলাদেশের সেরাটা দিতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন দীপ দাসগুপ্ত। তিনি বলেছেন, ‘ধারাবাহিকতা নেই। ব্যাটিং অর্ডারের দিকে যদি তাকাই চোখে পড়বে সবার ব্যাটিং অর্ডার অদলবদল হচ্ছে। মেহেদী (মিরাজ) এশিয়া কাপে ওপেন করল, পরের ম্যাচে ব্যাটিং করল মিডল অর্ডারে, এরপর লোয়ার মিডল অর্ডারে। শান্ত (নাজমুল), তাওহিদ হৃদয়ের বেলাতেও এমনটা হয়েছে। এটা বিশ্বকাপ। ভারত দলের দিকে তাকান, দেখবেন স্পষ্টতা আছে। জয়–পরাজয় যা–ই হোক না কেন, তারা তাদের পরিকল্পনা থেকে সরবে না। এটাই বাংলাদেশের মধ্যে দেখিনি।’
জয়ে ফিরতে পুনেতে আজ স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে সাকিব আল হাসানের দল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।